তাইওয়ান ইস্যুতে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এর মধ্যেই শুক্রবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বেশ কয়েকটি সামরিক ও বেসামরিক ক্ষেত্রে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রতিক্রিয়ায় এই কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিলো বেইজিং।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আরটি।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি তালিকা প্রকাশ করেছে যে ক্ষেত্রগুলোতে চীনা এবং মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে আর যোগাযোগ থাকবে না। এর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগের মধ্যে বৈঠক, সামুদ্রিক নিরাপত্তা পরামর্শ, অবৈধ অভিবাসনে সহযোগিতা, বিচারিক সহায়তা, আন্তর্জাতিক অপরাধ, মাদক নিয়ন্ত্রণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের সিনিয়র সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে একটি পরিকল্পিত ফোন কল ইতোমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার, চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পেলোসি এবং তার পরিবারের সদস্যদের উপর ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে।
যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ানে ঝটিকা সফরকে কেন্দ্র করে চীন-মার্কিন উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে। ২৫ বছরের মধ্যে প্রথমবার মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ‘নিজ দায়িত্বে’ তাইওয়ান সফরের ভেতর প্রতীকী তাৎপর্য দেখছেন বিশ্লেষকরা। চীন অনেক আগে থেকেই এ সফরের তীব্র বিরোধিতা করে আসছিল।