ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মরক্কোতে কেন পশু কোরবানি না দেওয়ার নির্দেশ দিল সরকার ভারতকে আলোচনার টেবিলে বসাতে ট্রাম্পই উপযুক্ত বলছে পাকিস্তান পবিত্র হজের খুতবা দিলেন ড. সালেহ আল হুমাইদ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ১২ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, গাজায় মৃত্যুর মিছিল ও দুর্ভিক্ষ অব্যাহত ঈদে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পাচ্ছে জামায়াত : নির্বাচন কমিশন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ফিলিস্তিনিদের হত্যা, তদন্তের আহ্বান জাতিসংঘের কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন ড. ইউনূস ব্রিটিশ রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. ইউনূস

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ১২ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা

সাংবাদিক

 

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ১২ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ছাড়া অন্য সাতটি দেশের নাগরিকদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন তিনি।

বুধবার (৪ জুন) এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের মাধ্যমে তিনি তা কার্যকরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

নিষিদ্ধ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- আফগানিস্তান, চাদ, কঙ্গো, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, মিয়ানমার, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।

ঘোষিত নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

ট্রাম্প তার আদেশে বলেছেন, আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।

এই আদেশটি সোমবার (৯ জুন) ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় রাত ১২:০১ মিনিট থেকে কার্যকর হবে। আদেশে বলা হয়েছে, এই তারিখের আগে ইস্যু করা ভিসাগুলো বাতিল করা হবে না।

হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, কলোরাডোর বোল্ডারে একটি ইসরায়েলপন্থি সমাবেশে সাম্প্রতিক হামলা প্রমাণ করে যথাযথভাবে যাচাই না করা বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশের ফলে আমাদের দেশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাদের জন্য চরম বিপদে আমরা।

তিনি দাবি করেন, আমাদের দেশে লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসী রয়েছে, যাদের এখানে থাকা উচিত নয়। আমরা ইউরোপে যা ঘটেছে তা আমেরিকায় ঘটতে দেব না। খুব সহজভাবে যেসব দেশ থেকে আমরা নিরাপদে এবং নির্ভরযোগ্যভাবে প্রবেশকারীদের যাচাই করতে পারি না, সেসব দেশ থেকে উন্মুক্ত অভিবাসন আমরা অনুমতি দিতে পারি না।

তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায় তাদের আমরা আমাদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দেব না।

২০১৭ সালে প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প সাতটি প্রধানত মুসলিম দেশ- ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া এবং ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তখন তার নির্বাহী আদেশ জারি করা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।

এবার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই অভিবাসনবিরোধী অভিযান শুরু করেন ট্রাম্প। এ ছাড়া তার নীতির বিরুদ্ধাচারণ করা দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। অভিবাসন বিতাড়ন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়ে। কিন্তু সব সমালোচনা পেছনে ঠেলে ট্রাম্প অভিবাসনবিরোধী কার্যকলাপ অব্যাহত রেখেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য
আপডেটের সময় : ০৬:৩৭:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
৫১১ Time View

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ১২ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা

আপডেটের সময় : ০৬:৩৭:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ১২ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ছাড়া অন্য সাতটি দেশের নাগরিকদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন তিনি।

বুধবার (৪ জুন) এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের মাধ্যমে তিনি তা কার্যকরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

নিষিদ্ধ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- আফগানিস্তান, চাদ, কঙ্গো, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, মিয়ানমার, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।

ঘোষিত নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

ট্রাম্প তার আদেশে বলেছেন, আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।

এই আদেশটি সোমবার (৯ জুন) ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় রাত ১২:০১ মিনিট থেকে কার্যকর হবে। আদেশে বলা হয়েছে, এই তারিখের আগে ইস্যু করা ভিসাগুলো বাতিল করা হবে না।

হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত একটি ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, কলোরাডোর বোল্ডারে একটি ইসরায়েলপন্থি সমাবেশে সাম্প্রতিক হামলা প্রমাণ করে যথাযথভাবে যাচাই না করা বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশের ফলে আমাদের দেশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাদের জন্য চরম বিপদে আমরা।

তিনি দাবি করেন, আমাদের দেশে লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসী রয়েছে, যাদের এখানে থাকা উচিত নয়। আমরা ইউরোপে যা ঘটেছে তা আমেরিকায় ঘটতে দেব না। খুব সহজভাবে যেসব দেশ থেকে আমরা নিরাপদে এবং নির্ভরযোগ্যভাবে প্রবেশকারীদের যাচাই করতে পারি না, সেসব দেশ থেকে উন্মুক্ত অভিবাসন আমরা অনুমতি দিতে পারি না।

তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায় তাদের আমরা আমাদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দেব না।

২০১৭ সালে প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প সাতটি প্রধানত মুসলিম দেশ- ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া এবং ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তখন তার নির্বাহী আদেশ জারি করা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।

এবার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই অভিবাসনবিরোধী অভিযান শুরু করেন ট্রাম্প। এ ছাড়া তার নীতির বিরুদ্ধাচারণ করা দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। অভিবাসন বিতাড়ন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়ে। কিন্তু সব সমালোচনা পেছনে ঠেলে ট্রাম্প অভিবাসনবিরোধী কার্যকলাপ অব্যাহত রেখেছেন।