যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইস শহরের একটি হাই স্কুলে বন্দুক হামলা হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, এতে বন্দুকধারীসহ তিনজন নিহত হয়েছে এবং আরও অন্তত সাতজন আহত হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার ৯টার দিকে সেন্ট্রাল ভিজ্যুয়াল অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টস হাই স্কুলে প্রবেশ করে একজন বন্দুকধারী। স্কুলটির ভবনের দরজা বন্ধ করা ছিল।
তবে ওই বন্দুকধারী ঠিক কীভাবে স্কুলের ভেতর প্রবেশ করতে পারল, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বন্দুকধারীর অস্ত্রটি হামলা চালানোর মাঝপথে বিকল হয়ে যায়। ফলে অন্যদের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
সেন্ট লুইস পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্দুকধারীকে স্বল্প সময়ের মধ্যেই থামিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ১৯ বছর বয়সী তরুণ ওই স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী। পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তার প্রাণ গেছে। প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থীর স্কুলে সাবেক কোনো ছাত্রের এভাবে বন্দুক হামলার কারণ এখনো অজানা।
স্থানীয় সাংবাদিকদের পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত দুজনই নারী। তাদের মধ্যে একজন কিশোরী স্কুলের মধ্যেই প্রাণ হারিয়েছে এবং আরেক নারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মারা গেছেন।
আহতদের মধ্যে তিনহন ছাত্রী ও চারজন ছাত্র। তাদের আঘাত গুরুতর নয়। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, আহতদের কারো শারীরিক পরিস্থিতির কারণে প্রাণ নিয়ে সংশয় নেই।
শহরটির পুলিশ কমিশনার মাইকেল স্যাক জানান, হামলার খবরে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকে। পরিস্থিতি দেখে স্কুলের কর্মীরা দ্রুত পুলিশকে বিষয়টি জানান। বন্দুকধারীর কাছে শতাধিক বুলেট ছিল। তার কাছে যা প্রায় এক ডজন উচ্চ-ক্ষমতার ম্যাগাজিনে সেসব সাজানো ছিল। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারতো।
সূত্র: বিবিসি