দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল শিক্ষা ও গবেষণার একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার পাহাড়তলি ইউনিয়নের চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের পাশে উনসত্তরপাড়া মৌজায় অবস্থিত। চট্টগ্রাম শহরের উত্তর-পূর্বে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে এবং কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে প্রায় ২০ কিলোমটার দূরে এক মনোরম প্রাকৃতিক পাহাড়ি ভূমিতে প্রায় ১৭১ একর জায়গাজুড়ে চুয়েট ক্যাম্পাসের অবস্থান। মনোরম এই ক্যাম্পাসে একইসাথে পাহাড়, সমতলভূমি ও লেইকের অপূর্ব সম্মিলন ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ৫ কিলোমিটার আয়তনের মধ্যেই দেশের একমাত্র খরস্রোতা কর্ণফুলী নদী বহমান। আর ঘন্টাখানেকের দূরত্বেই মাত্র ৩০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম মনুষ্যসৃষ্ট স্বাদু পানির কাপ্তাই হ্রদ। কাপ্তাই হ্রদ ও কর্ণফুলীর তীরবর্তী সমভূমি হওয়ার সুবাদে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পুরোটাই আঁচড়ে পড়েছে এই ক্যাম্পাসে। ছোট্ট পরিসরেই মিলবে সবুজ প্রকৃতি, সারি-সারি গাছের সমারোহ, বাহারি ফুলের সমাহার, পাখিদের কিচির-মিচির কলতান, পাহাড়-সমতল মিশ্রিত প্রাকৃতিক লেইক, পাহাড়ি উঁচু-নিচু মেঠো পথ, বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য, প্রকৌশলবিদ্যার অনুকরণে দৃষ্টিনন্দন সব অবকাঠামো ও স্থাপনার পসরা। স্ব-মহিমায় দাঁড়িয়ে গৌরবময় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, স্বাধীনতা ভাস্কর্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য মুক্ত মঞ্চ, পাহাড়ি মেঠোপথে ঝুলন্ত সেতু প্রভৃতি চুয়েট ক্যাম্পাসের নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যকে অনন্য মুগ্ধতা দিয়েছে। এ যেন ১৭১ একরজুড়ে পুরো ব-দ্বীপের বাংলাদেশেরই চিত্রায়ন।
২০০৩ সালের ১লা সেপ্টেম্বর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নবযাত্রা শুরু করা চুয়েট আজ গৌরবময় পথচলার ২০তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। ২০০৩ সালের ১লা সেপ্টেম্বর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নবযাত্রা শুরু করা চুয়েট আজ গৌরবময় পথচলার ২০তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। চুয়েট পরিবারের পক্ষ থেকে চুয়েটের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী ও শুভাকাক্সক্ষী সকলকে ২০তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অগ্রযাত্রায় প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে যাঁরা বিভিন্নভাবে ভূমিকা রেখেছেন এবং বর্তমানেও যাঁরা নিরলসভাবে চুয়েটের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন, চুয়েট পরিবার তাঁদের সকলের অবদানকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছে।
মাত্র দুই দশকের পরিক্রমায় মূলশহর থেকে দূরে গ্রামীণ জনপদে অবস্থান সত্ত্বেও সীমিত বাজেটের মধ্যে ভূমিকম্প, জলাবদ্ধতা, ভূমিধ্বস ও পরিবহন-যানজট বিষয়ক গবেষণায় চুয়েটের শিক্ষক-গবেষকদের ভূমিকা দেশজুড়ে আস্থা তৈরির পাশাপাশি বহির্বিশে^ও নিজেদের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান সুনিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি প্রতিবছর নিয়মিতভাবে একাধিক আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স আয়োজন, দেশি-বিদেশি স্কলার ও গবেষকদের অংশগ্রহণে সেমিনার-কর্মশালা-সিম্পোজিয়াম আয়োজন, বিশ্বমানের ল্যাব ও যন্ত্রপাতি সংযোজন, কর্ণফুলী ও হালদা নদী বিষয়ক গবেষণা, বহুবিধ শিল্পসমস্যার সমাধান, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ সেবা প্রদান, শক্তিশালী ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবোরেশন, বহিঃর্বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে উচ্চশিক্ষা-গবেষণায় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর এবং সরকারের রূপকল্প-২০৪১ অনুসরণে “স্মার্ট বাংলাদেশ” বিনির্মাণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ প্রভৃতি চুয়েটকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও দুরদর্শী দিকনির্দেশনায় এই বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা-গবেষণার অন্যতম সেরা হিসেবে গড়ে তোলার বহুমুখী প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ববাজারের চাহিদা ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সাথে সমন্বয় রেখে জাতীয় ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পেশাদার প্রকৌশলীদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষা-গবেষণাকে জনকল্যাণে বিস্তৃত করতে চুয়েট প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।
চুয়েটে বর্তমানে ৫টি অনুষদের অধীনে ১২টি ডিগ্রিপ্রদানকারী বিভাগসহ মোট ১৮টি বিভাগের পাশাপাশি ৩টি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ৩টি গবেষণা সেন্টার রয়েছে। ১২টি বিভাগে ৯২০টি আসনের (উপজাতি কোটাসহ মোট ৯৩১টি আসন) বিপরীতে প্রায় ৬ হাজার ২০০ জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়নরত রয়েছে। পাশাপাশি ১০০জন পিএইচডি ডিগ্রীধারীসহ প্রায় ৩৩৭ জন শিক্ষক, ১৬০ জন কর্মকর্তা এবং প্রায় ৪৩৩ জন কর্মচারী মিলে একটি পরিবার হিসেবে চুয়েটকে এগিয়ে নেওয়ার ব্রত নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া চুয়েটের সামগ্রিক উন্নয়নে “চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় উন্নয়ন শীর্ষক” প্রকল্পের অধীনে ৩৫৯.৯৬ কোটি টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তিনতলা বিশিষ্ট নতুন একটি ছাত্রী হলের নির্মাণ, প্রায় ২১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৭ হাজার ৫০০ বর্গফুট আয়তনের পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি নতুন ছাত্র হল নির্মাণ, প্রায় ২ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন ও নতুন মেডিকেল সেন্টার ভবন নির্মাণ, ১০তলাবিশিষ্ট অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সমমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন, ৫তলাবিশিষ্ট দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা ও ৩য় শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন, ১০তলাবিশিষ্ট সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক ও সমমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট এবং ৩তলাবিশিষ্ট মেডিক্যাল সেন্টার ভবনের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।
চুয়েট যেখানে অনন্য:
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৩টি গবেষণা সেন্টার ও একটি কেন্দ্রীয় ব্যুরো অফ রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেন্সি (BRTC) রয়েছে। সেন্টারটির মাধ্যমে সারাদেশে বিবিধ শিল্প এবং প্রতিষ্ঠানকে প্রযুক্তি সংক্রান্ত সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। চুয়েটে রয়েছে ‘ইনস্টিটিউট অব আর্থকোয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ’ নামে দেশের একমাত্র ভূমিকম্প প্রকৌশল গবেষণা ইনস্টিটিউট। এছাড়া ‘সেন্টার ফর রিভার, হারবার এন্ড ল্যান্ড-স্লাইড রিসার্চ’ নামে দেশের একমাত্র পোতাশ্রয় ও ভূমিধ্বস বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। চুয়েটে বছরজুড়েই বিভিন্ন বিভাগের আয়োজনে আন্তর্জাতিক সেমিনার ও কনফারেন্স আয়োজন করে। এর মধ্যে দেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক কনফারেন্স ÔInternational Conference on Advance Civil Engineering (ICACE)’ চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের আয়োজনেই হয়ে থাকে। এছাড়া যন্ত্রকৌশল বিভাগের আয়োজনে ÔInternational Conference on Mechanical Engineering and Renewable Energy (ICMERE)’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিয় (ইসিই) অনুষদের আয়োজনে ÔInternational Conference on Electrical, Computer and Communication Engineering (ECCE)’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে ÔInternational Conference on Physics for Sustainable Development & Technology (ICPSDT)’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স, পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের আয়োজনে ÔNational Conference on Water Resources Engineering (NCWRE)’ শীর্ষক জাতীয় কনফারেন্স, ইনস্টিটিউট অফ এনার্জি টেকনোলজি (আইটিই)-এর আয়োজনে ÔNational Conference on Energy Technology, Mechatronics & Industrial Automation (NCETMIA)’ শীর্ষক জাতীয় কনফারেন্স প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের ক্যাম্পাস চুয়েট:
দেশের প্রথম ও একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে প্রায় ১১৭.৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত “শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর” চুয়েটের দৃশ্যমান সাফল্যের ধারায় নতুন পালক যুক্ত করেছে। যা মাননীয় প্রধানমনন্ত্রী গত ৬ই জুলাই ২০২২ খ্রি. আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন করেন। এই ইনকিউবেটরে প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন যে কেউ যে কোনো ধরনের সৃজনশীল আইডিয়া নিয়ে আসতে পারবে এবং সেটাকে একটি প্রোডাক্টিভ পণ্য হিসেবে তৈরি করে বাজারজাত করার দায়িত্ব ইনকিউবেটর কর্তৃপকক্ষের। এটি চুয়েট শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দেশের প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন তরুণদের জন্য অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এই ইনকিউবেটরের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে তরুণ প্রজন্ম ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন বলে আমরা আশাবাদী।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে চুয়েট:
প্রকৌশল শিক্ষা অন্যান্য শিক্ষা পদ্ধতির চেয়ে ব্যতিক্রম হওয়ায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সারাবছরই আঁটসাঁট একাডেমিক শিউিউলের মধ্যে থাকতে হয়। কিন্তু তাই বলে চুয়েটিয়ানরা সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দমে থাকতে পারে না। শুনে অবাক হতেও পারেন যে, চুয়েটের ১৭১ একরের ভূমিতে নিবন্ধনকৃত সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সংখ্যা অন্তত ২০টি। সংগঠনগুলো হলো- সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘জয়ধ্বনি’, পরিবেশ সচেতনতামূলক সংগঠন ‘গ্রিন ফর পিস’, চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটি, চুয়েট ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, চুয়েট চলচ্চিত্র সংসদ, ভাষা ও সাহিত্য সংসদ চুয়েট, রোবটিক চর্চা ও গবেষণামূলক সংগঠন ‘রোবো মেকাট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন’ (আরএমএ), মহাকাশ ও রোবটিক গবেষণা সংস্থা ‘অ্যান্ড্রোমেডা স্পেস অ্যান্ড রোবটিক্স রিসার্চ অরগ্যানাইজেশন’ (আ্যসরো), চুয়েট ক্যারিয়ার ক্লাব, চুয়েট কম্পিউটার ক্লাব , চুয়েট স্পোর্টস ক্লাব, বিশ্বের সর্ববৃহৎ পেশাজীবীদের সংগঠন ‘ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রনিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স’ (আইইইই) স্টুডেন্টস বাঞ্চ, ঢাকা কলেজ এসোসিয়েশন, নটরডেমিয়ান এসোসিয়েশন, ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন। এর মধ্যে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক উৎসবে ‘জয়ধ্বনি’ ২০১২, ২০১৪, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন ও ২০১০ রানার্স আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটিও সম্প্রতি জাতীয় বিতর্ক উৎসব PCDF-২০১৯ এর চ্যাম্পিয়ন, বাংলাদেশ টেলিভিশন আঞ্চলিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০১৯ এর চ্যাম্পিয়নসহ বিভিন্ন পর্যায়ে মোট ৭বার চ্যাম্পিয়ন ও তিনবার রানার্স-আপ হয়। এছাড়া গ্রিন ফর পিস’র বছরজুড়েই পরিবেশ সচেতনতামূলক কার্যক্রম তো আছেই। পাশাপাশি বহিঃর্বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে রোবটিক চর্চা এবং মহাকাশ ও রোবটিক গবেষণার সাথে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে আরএমএ এবং অ্যাসরো’র শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে, রোবট গবেষণায় চুয়েট শিক্ষার্থীরা প্রতিবছরই দেশ-বিদেশ হতে কোন না কোন সাফল্য নিয়ে আসছেন।
– মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম
সহকারী পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা)
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়