মশা-মাছি, কীটপতঙ্গ ইত্যাদি অনিচ্ছাকৃত পেটের ভেতর ঢুকে গেলেও রোজা ভাঙবে না। [মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ৬/৩৪৯]।
অনিচ্ছাকৃত বমি হলে (এমনকি মুখ ভরে হলেও) রোজা ভাঙবে না। তেমনি বমি মুখে এসে নিজে নিজেই ভেতরে চলে গেলেও রোজা ভাঙবে না। [তিরমিযী ১/১৫৩]।
রোজার কথা ভুলে গিয়ে পানাহার করলে রোজা নষ্ট হবে না। তবে রোজা স্মরণ হওয়া মাত্র পানাহার ছেড়ে দিতে হবে। [মুসলিম ১/২০২]।
কোনো খাদ্যদ্রব্য বুট বা ছোট ছোলার কম পরিমাণ যদি দাঁতের সঙ্গে লেগে থাকে ও গলার ভেতর চলে যায়, তাহলে রোজা ভাঙবে না [হিন্দিয়া ১/২০২]। তবে দাঁত থেকে বের করে হাতে নিয়ে স্বেচ্ছায় খেয়ে ফেললে রোজা নিশ্চিতভাবে ভেঙে যাবে। [হিন্দিয়া ১/২০২]।
কুলি করার পর পানির অবশিষ্ট আর্দ্রতা থুথুর সঙ্গে গিলে ফেললে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। [হিন্দিয়া ১/২০৩]।
ঘাম অথবা চোখের অশ্রুর দু-এক ফোঁটা যদি অনিচ্ছায় মুখে চলে যায়, তাহলে রোজা নষ্ট হবে না। [হিন্দিয়া ১/২০৩]।
কফ গলার মধ্যে চলে যায়, তাহলেও কোনো সমস্যা নেই। [দুররে মুখতার ৩/৩৭৩]।
রোজা অবস্থায় অনিচ্ছাকৃত মুখের মধ্যে ধুলাবালি ঢুকে গেলে রোজা ভাঙবে না। [দুররে মুখতার ৩/৩৬৬]।
গোসল করার সময় অথবা বৃষ্টিতে ভেজার সময় কানের মধ্যে অনিচ্ছায় পানি চলে যায়, তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে রোজা নষ্ট হবে না। [ফাতহুল কাদীর ২/৩৪৭]।
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি রোজা রাখা। আল্লাহ প্রত্যেক সাবালক ও সুস্থ মুসলিম নর-নারীর ওপর রমজানের রোজা ফরজ করেছেন। আল্লাহর সন্তুষ্ঠির লক্ষ্যে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত স্ত্রী সম্ভোগ, খাবার ও পানীয় গ্রহণ থেকে বিরত থাকার নামই রোজা। এই সময় স্ত্রী সম্ভোগ ও পানাহারে লিপ্ত হলে তার রোজা ভেঙে যাবে। তা ছাড়া নারীদের ঋতুস্রাবের কারণেও রোজা ভেঙে যায়।