হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী নিজেদের আওতাধীন সব অফিস ও সরকারি অথবা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ৷
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি গঠনের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, মাউশির আওতাধীন সব অফিস ও সরকারি অথবা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠন এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য তাগিদ প্রদান করা হয়। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কয়েকটি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি যা আদালত অবমাননার শামিল।
এমতাবস্থায়, জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে কমিটি গঠন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য নিম্নরূপ নির্দেশনা দেওয়া হলো:
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে উল্লিখিত বিষয়ে অভিযোগ গ্রহণ, তদন্ত পরিচালনা এবং সুপারিশ করার জন্য কর্তৃপক্ষ কমপক্ষে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করবে। যার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য হবেন নারীরা। সম্ভব হলে কমিটির প্রধান হবেন নারী; কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সৎ, দক্ষ এবং সক্রিয় সদস্যগণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
কমিটির দুইজন সদস্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে লেখার ও মানবাধিকার বিষয়ে যারা কাজ করে তাদেরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে—অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কমিটি অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখবে।
অভিযোগ গ্রহণকারী কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করবে। প্রয়োজনে (যদি উপযুক্ত কারণ থাকে) কর্তৃপক্ষ এ সময়সীমা ৩০ কর্মদিবস থেকে ৬০ কর্মদিবস বাড়াতে পারবে। প্রতিষ্ঠানের সামনে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ বক্স থাকবে।
এমতাবস্থায় আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে উল্লেখিত বিষয়ে কমিটি গঠন নিশ্চিত করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কমিটি গঠনের তদারকির বিষয়টি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করবেন। এছাড়াও আঞ্চলিক পরিচালক এবং উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) তার আওতাধীন যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিসে এখনো কমিটি গঠন করেনি, তাদের তালিকা তৈরি করে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মাউশি অধিদপ্তর বরাবর হার্ড কপি এবং সফট কপি ইমেইল প্রেরণ নিশ্চিত করবেন।