সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রমজান মাসেও পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সাংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। করোনাভাইরাসের কারণে এত দিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন হতো। আজ প্রথম সরাসরি উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী।
ফখরুল ইমাম বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সম্প্রতি দেশের দ্রব্যমূল্যে সহনীয় পর্যায়ে আনতে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দ্রব্যমূল্য বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন প্রতি টন গম যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ছিল ২৯৫ পয়েন্ট ৮৩, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৪৭৫ পয়েন্ট ৪৬। অর্থাৎ ৬০ দশমিক ৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরিশোধিত সয়াবিন তেলে ২৬ দশমিক ৪১ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। পাম ওয়েল প্রতি টিন ৩৫ দশমিক ৭১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া চিনির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। শিপিং ব্যয়ও ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা বেড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে। তার কিছুটা ঢেউ বাংলাদেশে লেগেছে।’
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রমজান উপলক্ষে দেশের সব সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত নিম্ন আয়ের ১ কোটি মানুষের জন্য রমজানের আগে ও রমজানের মাঝামাঝিতে মোট দুবার টিসিবির পণ্যসামগ্রী বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নির্ধারিত মানদণ্ডে পণ্যসামগ্রী বিক্রি করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় আগের মতো টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।’
দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য ব্যবসায়ী নেতা, প্রশাসন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সরকারের কার্যক্রমের কারণে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। আশা করি রমজান মাসেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।’