আসন্ন রমজান উপলক্ষে দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনের একটি কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। ডিসিদের অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। বিশেষ করে রোজার আগে তারা যেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহযোগিতা করে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ডিসিদের সভায় নির্দেশ দেয়া হয়েছে— জেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা কোর কমিটির সভা যেন প্রতি মাসে তারা করেন। যাতে করে সবার সঙ্গে সবার একটা বোঝাপড়া থাকে। যেন কোনো অসুবিধা হলে সেটা দ্রুত সমাধান করা যায়। সভায় ডিসিদের আরও নির্দেশ দেওয়া হয় যেন তারা ইয়াবা ও এলএসডির মতো মাদকের বিরুদ্ধে সামজিক সচেতনতা গড়ে তোলেন। আমরা ধূমপানের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। এখন দেখা যায় প্রকাশ্যে কেউ ধূমপান করে না। কেউ ধূমপান করলে তা আড়ালে করে।
তিনি বলেন, প্রতি বছরের মতো জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনটি হচ্ছে। সম্মেলনে মন্ত্রী ও সচিবরা তাদের মুখোমুখি হন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে আজকে ডিসিদের একটি সভা হয়েছে। সভায় ডিসিরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নতুন করে কিছু বলেননি। উনারা ছোট ছোট কিছু পয়েন্ট সভায় তুলেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিসিরা বলেছেন; জঙ্গিদের আদালতে আনা নেয়া করায় কিছুটা ঝুঁকি থাকে। তাই ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিচার করার কথা বলেছেন ডিসিরা। আমরা সেটা যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা করে দেখব, এইটা করা যায় কি না। সারা বাংলাদেশে ভার্চুয়াল কোর্ট করা যায় কি না আমরা সেটাও পরীক্ষা করে দেখব।
নদীপথে যেন যত্রতত্র বালু উত্তোলন না করা হয় সে জন্য ব্যবস্থা নিতে ডিসিদের অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া ডিসিদের যখন প্রয়োজন তখনই নিরাপত্তা বাহিনী তাদের পাশে থাকবে বলেও তিনি জানান।