রমজান উপলক্ষে একটি অসাধু চক্র ফল সহ বিভিন্ন খাদ্যে ফরমালিন মিশিয়ে বাজার জাত করে আসছে। এর মধ্যে পচনরোধে কলায় মিশানো হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ ফরমালিন।
সরেজমিনে দেখা যায়, আশুলিয়ার জিরানী বাজার কাঠ পট্টি এলাকায় প্রায় ছয়টি কলার আড়তে রয়েছে। এই আড়তে গিয়ে দেখা যায় অবাত্তি শবরী কলা ছোট বা বড় কাঁচা কলা ফরমালিন মিশিয়ে পাকিয়ে বাজার জাত করে আসছে।
বিষয়টি জানতে চাইলে শাহজালাল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি কলার আড়তের মালিক মোঃ আমিনুল ইসলাম বিষয়টি স্বীকার করে স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে সংবাদ কর্মীদের বলেন আশুলিয়ায় প্রায় ২৫০ টির বেশি কলার আড়তদারদের সাথে আমার ব্যবসা আছে, সকল আড়তেই ফরমালিন মিশিয়ে কলা পাকানো হয়।
আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ প্রশাসন ম্যানেজ করেই এই ব্যবসা করে আসছি শুধু তাই নয় এটাও সাংবাদিকের মার্কেট।
এখানে এসে ছবি উঠালেন কেন, আপনারা কি জানেন আমি এই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। আমিনুল ইসলাম সাংবাদিক আমার কাকা লাগে এবং আজাহারুল ইসলাম সুরুজ চেয়ারম্যানের এক কারখানায় টিফিনে কলা দেই আমি।
মুসলিম রোযাদার ব্যক্তিরা বলছেন এরা প্রাভাবশালী ও সন্মানিত ব্যাক্তিদের নাম বিক্রয় করে এই ভাবে অবৈধ ব্যবসা করছেন আর আমরা না যেনে সারাদিন রোজা রাখার পর নিজেদের শরীর ঠিক রাখার জন্য ইফতারীতে তৈলে ভ্যাজা ইফতারীর পাশাপাশি ফল জাতীয় খাদ্য সামগ্রী রাখি এবং খাই।
কিন্তু বর্তমানে ফলমুলে যে বিষাক্ত ফরমালিন মিশানো হয়, তাতে আর ফল খাওয়ার কায়দা নেই।
সচেতন মহল বলছেন রমজান কে পুঁজি করে একটি অসাধু ব্যবসায়ীক সিন্ডিকেট অতিরিক্ত লাভের আশায় অবাত্তি কলা ফরমালিন মিশিয়ে পাকিয়ে বাজার জাত করে আসছে।
জিরানী বাজার এলাকার হেলাল নামের একজন বলেন,আমি এখান থেকে কলা কিনেছি রোজার আগে। সাত- আটদিন হয়ে গেলেও এখনো কলার কিছুই হয়নি। শুধু বোটাগুলো পঁচে গেছে।
ক্রেতাও ভোক্তাদের দাবি প্রশাসনের নাগের ডগায় এই সকল কলা বিক্রয় হচ্ছে কিন্তু কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে সে কারণেই আরও বেপরোয়া এই মহলটি, তাই স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা।