লোকমান আনছারী রাউজান চট্টগ্রাম
মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ চিকদাইর শাখা-২ ও করম আলী হাজির বাড়ি যৌথ উদ্যোগে নানান কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে দুইদিনব্যাপী পবিত্র ঈদে মিলাদন্নবী(সাঃ) ও বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) এর চন্দ্রবার্ষিকী ফাতেহা উদযাপিত হয়েছে।কর্মসুচীতে ছিল খতমে কুরআন,খতমে বোখারী,খতমে মুজমায়ে সালাওয়াতে রাসুল,খতমে গাউসিয়া শরীফ ও আজিমুশশান মাইজভাণ্ডারী সম্মেলন।গত সোমবার বাদে এশা চিকদাইর আব্দুল আলী জামে মসজিদ সংলগ্ন গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী ঈদগাহ্ ময়দানে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আল্লামা নুরুচ্ছাপা (মা.জি.আ.)।উদ্বোধক ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদের সদস্য শিক্ষক মোহাম্মদ আবু তাহের।প্রধান বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ইউ ইয়র্ক নর্থ ব্রঙ্কস ইসলামিক সেন্টার এন্ড জামে মসজিদের খতিব আল্লামা শাইখ মুহাম্মদ সাইফুল আজম বাবর আল্ আযহারী।সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু মোঃ আক্কাস উদ্দিন মানিক ও কোরবান আলীর যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ বক্তা ছিলেন হযরতুলহাজ্ব আল্লামা ইদ্রিস আনছারী, আল্লামা গোলাম মোস্তাফা শায়েস্তা খাঁন আল আযহারী,মাওলানা ইলিয়াছ হোসাইনী।আলোচনায় অংশ নেন আল্লামা ছালে সুফিয়ান,মাওলানা তরিকুল ইসলাম,মাওলানা ফরিদুল আলম, মাওলানা বাহাউদ্দিন ওমর,মাওলানা আব্দুল মান্নান,মাওলানা হারুনুর রশিদ নকশবন্দী,মাওলানা মোকাম্মেল হক ফরহাবাদী,মাওলানা শহিদুল আলম,মাওলানা এস এম তৈয়বুর রহমান।বিশেষ অতিথি ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি কেন্দ্রীয় পর্ষদের সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম চৌধুরী, ইউপি সদস্য নেজাম উদ্দিন,নুরুল হক সওদাগর, সাদিকুজ্জামান শফি,আনিসউল খাঁন বাবর,কাজী হেলাল উদ্দিন,সোলাইমান,তছলিম উদ্দিন,মাওনানা মহিম উদ্দিন,হাফেজ দৌলত খাঁন।সম্মেলনে বক্তারা বলেন, মুসলমানের জন্য সর্বোত্তম সম্পদ ঈমান।ঈমানহীন কোনো আমলেরই মূল্য নেই।তাই মহানবী (সা:) আমাদেরকে দুটি জিনিস আঁকড়ে ধরতে বলেছেন। একটি আল্লাহর কিতাব,অন্যটি হলো নবীর বংশধর অর্থাৎ আহালে বায়াত।তাহলে তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না।বিশ্বঅলি শাহানশাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী বলেছেন,বিপুল সম্পদে নয়,ঈমানে পুলসিরাত পাড়।এই ঈমানে উপর অটল থাকতে হলে,যারা সত্য ও ন্যয়ের উপর অটল-অবিচল; দ্বীন ও ইসলামের খেদমতে নিয়োজিত রয়েছে,সেসব লোকের সংস্পর্শে থাকা ও তাদের কথা মতো জীবনকে পরিচালনা করতে হবে।সত্যবাদী কারা? আল্লাহ্ অলিগণ।মিলাদ কিয়াম শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে মোনাজাত ও তাবরুক বিতরন করা হয়।