লোকমান আনছারী রাউজান প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় উরকিরচর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের হারপাড়া এলাকায় রাতের আধাঁরে ভরাট করা হচ্ছে কৃষি জমি। হালদা নদী থেকে উত্তোলন করা বালু ড্রাম ট্রাকে ভর্তি করে এনে ভরাট করছে এসব কৃষি জমি। কৃষি জমি রক্ষায় সরকার ও রাউজানের সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির কঠোন নিদের্শনা ছিল এক ইঞ্চি কৃষি জমিও ভরাট করা যাবেনা। এমন নির্দেশনার পরও কিছু লোক স্থানীয় ইউপি সদস্যের ম্যানেজ করে রাতের আধাঁরে কৃষি জমি ভরাট অব্যহত রেখেছে। রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন এলাকার মুছা নামে এক ব্যক্তি উরকিরচর হারপাড়া গ্রামের তাজুল নামে অপর এক ব্যক্তি থেকে কৃষি জমি ক্রয় করে। ক্রয় করা কৃষি জমিতে বেলাল নামের এক ব্যক্তিকে হালদা নদী থেকে উত্তোলন করা বালু দিয়ে এই জমিটি ভরাট করছে। একই উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের হারপাড়া এলাকার বাসিন্ধা হাবিব কৃষি জমি ক্রয় করে বালু দিয়ে ভরাট করছে। এ ব্যাপারে মুছাকে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাজুর কাছ থেকে কৃষিজমি ক্রয় করার চুড়ান্ত হয়েছে। এখনো রেজিষ্ট্রারী হয়নি। ভরাটের বিষয়ে আমি অবগত নয়। অপর ভরাটকারী হাবিব বলেন. আমি কৃষিজমি ক্রয় করে বালু দিয়ে ভরাট করে ক্ষেত করার প্রস্তুতি নিয়েছি। বালু দিয়ে কৃষি জমি ভরাট না করলে ক্ষেত করবো কিভাবে উল্টো প্রশ্ন রাখেন। এ ব্যাপারে উরকিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল জব্বার সোহেল বলেন, হারপাড়া এলাকায় কৃষি জমি ভরাট করার খবর পেয়ে গত ১০ ডিসেম্বর কৃষিজমি ভরাট কাজে ব্যবহৃত ড্রাম ট্রাক আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছি। নতুন করে রাতের আধাঁরে কৃষি জমি ভরাট করার বিষয়ে আমি অবগত নয়। তিনি জানান,সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির কঠোর অবস্থান আছে রাউজানে কোন কৃষিজমি ভরাট করা যাবে না। তার পরি প্রেক্ষিতে উরকিরচরে কৃষিজমি ভরাট কারী যে হউক না কেন, তাদেরকে কোন কৃষি জমি ভরাট করতে দেবনা।