রাজস্থলীর ছাইংখ্যং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাঁদার দাবিতে স্কুলের কাজ বন্ধ করে দিলেন প্রধান শিক্ষক
মো,সুমন খান, রাজস্থলী সংবাদদাতা।।
রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার দুই নং গাইন্দ্যা ইউনিয়নের ছাইংখ্যং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চাঁদার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় ও ঠিকাদার সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরেশ তঞ্চঙ্গ্যা নামক এক প্রধান শিক্ষক ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করার কারণে স্কুলটির ওয়াসব্লকের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে হুমকি কাজ চালিয়ে যেতে হলে চাঁদা দিতে হবে, অন্যথায় কাজ বন্ধ রাখতে হবে বলে জানানো হয়েছে। কাজের শ্রমিকদের কাজের স্থল হতে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পার্বত্য অঞ্চলে উন্নয়নমূলক যেকোনো কাজ করতে গেলেই চাঁদা দাবি করে অন্যান্য সংগঠন এবং চাঁদা না দিলে কাজ বন্ধ করে দেয়।এবার বাস্তবে প্রমাণ একজন প্রধান শিক্ষককে চাঁদা না দেওয়াতে স্কুলের উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক ওয়াস ব্লকের কাজ বন্ধ । এই ঘটনার ফলে এলাকার উন্নয়ন কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।এবং এলাকায় বিষয়টি নিয়ে তোলপার সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকার মানুষজন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে চাঁদাবাজ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। এ বিষয়ে ঠিকাদার কামাল হোসেন জানান, ছাইংখ্যং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরেশ তঞ্চঙ্গ্যা তার ব্যবহ্নত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমার নিকট হতে ২০ বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি চাঁদার টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে প্রধান শিক্ষক কাজ বন্ধ করে লোকজন কে বিদ্যালয় ছাড়তে বলেন, নইলে সমস্যা হবে।বিষয় টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাজুরুল ইসলামের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, ছাইংখ্যং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরেশ তঞ্চঙ্গ্যা বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে সে চাঁদা দাবী করছে বলে শুনেছি। কিন্তু ঠিকাদারের পক্ষ হতে কেউ অভিযোগ করেনি। যদি অভিযোগ করে তাহলে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চাঁদা চাওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষককে বার বার ফোন দিয়েও তার বক্তব্য নেওয়া হয়নি।এ বিষয়ে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজীব কান্তি রুদ্র গণমাধ্যমে জানান,ছাইংখ্যং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরেশ তঞ্চঙ্গ্যা ঠিকাদারের নিকট মোবাইলে চাঁদা চাওয়ার বিষয়ে শুনেছি এবং প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমাকে বিষয়টি অবগত করেছেন। আমি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সমন্বয়ে আইনে প্রক্রিয়ায় সম্পাদন করার জন্য বলি।
বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ আমলে নিয়ে সন্ত্রাসী মনোভাব পরিহার করে শিক্ষার জাতীর বিবেক বেগবান করার জন্য এলাকাবাসী জোরালো আবেদন জানান।