আনোয়ারুল ইসলাম:
রাণীশংকৈল ( ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি।। চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ইট ভাটাগুলোতে আগুন জ্বালানোয় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। উপজেলার মোট ২৭ টি ইটভাটায় ইতোমধ্যে কাঁচা ইট তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়ে আছে।
ভাটা মালিকরা ইট পোড়াতে প্রশাসনের অনুমতি পাচ্ছেননা। এনিয়ে চলছে দেন-দরবার।
জানা গেছে, প্রতিবছর ইটভাটায় আগুন জ্বালানোর মৌসুম এলেই ভাটা মালিকদের সাথে প্রশাসনের চলে দফায় দফায় বৈঠক। ভাটায় আগুন জ্বালানো নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চিয়তা। তার পরেও একসময় জ্বলে আগুন, চলে ভাটা। সে ভাটার ইট দিয়ে জনসাধারণের ও সরকারের উন্নয়ন মুলক কাজ হয়।
ইতোপূর্বে ঠাকুরগাঁও, বগুড়া, টাঙ্গাইল ও লালমনিরহাট- এ চার জেলায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধের রিট করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ । রিটের প্রেক্ষিতে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০১৩ অনুসারে লাইসেন্স ব্যতীত কোন ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যাবেনা মর্মে নির্দেশনা জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ চার জেলায় স্থাপিত অবৈধ ইটভাটার তালিকা দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সারাদেশের মধ্যে শুধু চার জেলায় এ ভাটা বন্ধের বিষয়টি এলাকাবাসিদের ভাবিয়ে তুলেছে।
সন্ধারই গ্রামের সোহেল রানা বলেন, প্রতিবছর শুনি ভাটা বন্ধ হবে, আবার অজ্ঞাত কারনে ভাটা চালু হয়। এবার হাইকোর্টের নির্দেশনার পরেও কি ইটভাটা চালু হবে?
এ প্রসঙ্গে ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আহাম্মেদ হোসেন বিপ্লব মুঠোফোনে বলেন,হাইকোর্টের রিটের বিষয়ে আপিলের প্রক্রিয়া চলছে। প্রতিবছর সরকারকে ভ্যাট ট্যাস্ক দিয়ে আমরা ভাটা পরিচালনা করে আসছি। এবার ভাটা চালু না হলে এ উপজেলার প্রায় ১২হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। তিনি আরো বলেন, ডলার সংকটের কারণে এবার কয়লা কেনা মুশকিল হয়ে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, ইটভাটা বন্ধের হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে । আদালতের বাইরে আমরা কোন মন্তব্য করতে পারিনা। ভাটা সংশ্লিষ্ট কোন মানবিক বিষয় থাকলে এটাও আদালত নিধার্রণ করবেন।