রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি।।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে দেশের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ চলাকালে উত্তেজিত দর্শকদের চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি-মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঝখানে অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেন ইত্যাদি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় উপজেলার রাজা টংকনাথের জমিদার বাড়ি প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ওই রাজবাড়ি প্রাঙ্গণে(মাঠে) তিন হাজার আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এ হিসেবে তিন হাজার বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির মাধ্যমে তিন হাজার পাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ইত্যাদি ব্যাপক জানাজানি প্রচারণার সুবাদে অনুষ্ঠানের দিন বিকেল থেকেই রাণীশংকৈলের আশপাশ এবং দুর দুরান্ত থেকে হাজার দর্শক অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে
ভিড় জমায়। সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় অনুষ্ঠান ভালোভাবে শুরু হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই মেইন
গেটসহ চারদিকের দেয়াল টপকে দর্শকরা পুলিশের ও ভোলান্টিয়ারদের বাধা উপেক্ষা করে মাঠে ঢুকতে থাকে।এতে মাঠে ১০ হাজারের অধিক দর্শকের চাপ সৃষ্টি হয়।বাইরে চারদিকে আরো প্রায় ৫০ হাজার উৎসুক জনতা
ভিড় জমিয়ে অবস্থান করে। এরমধ্যে মাঠের
একাংশের দর্শকরা হৈ হট্টগোল শুরু করে। তারা
ঠেলাঠেলি, চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি ও ভাংচুর করে।
পুলিশ, প্রশাসন, বিএনপি ও ছাত্রদল নেতারা
গন্ডগোল থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসেও গন্ডগোল থামানোর চেষ্টা করেন। খোদ হানিফ সংকেতের অনুরোধেও কাজ না হলে ইত্যাদি কর্তৃপক্ষ মাঝখানে অনুষ্ঠান স্থগিত ঘোষণা করে দর্শকদেরকে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে
বলেন। দর্শকরা হতাশ হয়ে অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে বাইরে চলে যান। তবে, জানা গেছে, ঘন্টাখানেক
পরে কিছু দর্শকের উপস্থিতিতে আবারও ইত্যাদির কিছু শুটিং করা হয়।
অনুষ্ঠানের ব্যাপারে রাণীশংকৈল থানার ওসি আরশেদুল হক বলেন, অনুষ্ঠানে হৈ হট্টগোল হয়েছে তবে মারামারি হয়নি, কেউ আহত হয়নি, কিছু দুষ্টু ছেলে চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি করেছে। আমরা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছি। ।
ইউএনও রকিবুল হাসান বলেন, আসলে প্রবল দর্শকচাপের ফলে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের জন্য যথাসাধ্য সহযোগিতা করেছি, অনুষ্ঠান চলাকালেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছি, এর বাইরে আরতো কিছু করার ছিলনা।