রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি।।আনোয়ারুল ইসলাম
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ভরনিয়া বাজারের পাশে ধানক্ষেত থেকে বৃহস্পতিবার(২৭ অক্টোবর) হোসাইন আলী(২৫) নামে এক কোচিং শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিন সকালে ওই বাজারের লোকজন রাস্তার ধারে ধানক্ষেতে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে রাণীশংকৈল থানার ওসি এস এম জাহিদ ইকবালসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল তৈরী করে। এছাড়াও ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সি আই ডি) একটি দল ঘটনাস্থলে পরির্দশন করেন। ওই শিক্ষক ভরনিয়া চেংমারি -সম্পদ বাড়ি এলাকার নুরুল হোসেনের
ছেলে । তিনি স্থানীয় এক কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ছিলেন।
পরিবারের দাবী পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের বোন রুমি, ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, তাদের গ্রামেরই অনুকুল ও
ইশার সাথে তার ভাইয়ের মামলা ছিল। অনুকুলের মেয়ের
সাথে তার ভাই হোসাইনের প্রেমের মাধ্যমে বিয়ে হয়েছিল। সেই বিয়ে মেনে নেয়নি অনুকুল। পরে মামলা করে হোসাইনের কাছ থেকে তার মেয়েকে তালাক নেয় অনুকুল। কিন্তু হোসাইনকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় তারা।
নিহতের বোন রুমি জানান, কোচিং সেন্টারে কিছুদিন আগে পড়ায় অমনোযোগের কারণে এক শিক্ষার্থীকে শাসন করেছিল হোসাইন। সে কারণে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়েছিল ভরনিয়া এলাকার মুসা মাষ্টার।নিহতের মা দাবী করেন অনুকুল, অনুকুল,ইশা ও মুসা মাষ্টার মিলে পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে হত্যা করেছে।
উল্লেখ্য,অভিযুক্ত মুশা মাষ্টার ইতিমধ্যে একটি হত্যা মামলার প্রথম আসামী হিসাবে দীর্ঘদিন কারাবাসে ছিলেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত অনুকুল ও ইশার সাথে যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি,
তবে আরেক অভিযুক্ত মুশা মাষ্টার বলেন, কোচিংয়ের শিক্ষার্থীকে মারধরের কারণে ওই শিক্ষার্থীর বাবা সফিকুল তার কাছে বিচার নিয়ে এসেছিল। কোচিংয়ের বিষয়ের কারণে সেই বিচার তিনি করতে চাননি,তিনি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিতে বলেছিলেন। দেখিয়ে দিয়েছিল। হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন , কাউকে আমি হুমকি দেইনি।
ধর্মগড় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, নিহত কোচিং শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে মারপিটের একটি বিচার এসেছিল। তবে সেটি স্থানীয় বিএসসি শিক্ষক মোশাররফ মিমাংসা করে দিয়েছেন।
ওসি এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, মরহেদের ডান হাতে ও বুকে ক্ষত পাওয়া গেছে।
লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলেই আসল রহস্য জানা যাবে। তাছাড়া নিহত
শিক্ষকের পরিবার এ মৃত্যুর জন্য দায়ী করে যাদের নাম বলছে তাদের বিষয়েও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।