আনোয়ারুল ইসলাম, রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি ।। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় গত ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় গঠিত ৩ সদস্যের কমিটি সোমবার ১ আগস্ট সকালে বাচোর ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্র ভাংবাড়ী ফুটকিবাড়ী(ভিএফ) নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে গিয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন কমিটির প্রধান অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট রামকৃষ্ণ বর্মন, জেলা সহকারী পুলিশ সুপার(পীরগঞ্জ সার্কেল) আহসান হাবীব ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভোট কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা সহকারী পুলিশ সুপার(রাণীশংকৈল সার্কেল) তোফাজ্জল হোসেন, সহকারী কমিশনার(ভুমি) ইন্দ্রজিৎ সাহা, রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল ও ঠাকুরগাঁও ডিএসবি ওসি-২ ইসমাইল হোসেনসহ আইনশৃঙ্খলারক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে ওই ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিশের ২ এএসআই থানায় পৃথক ৩টি মামলা করায় এলাকাবাসি গ্রেফতার আতংঙ্কে রয়েছে। অনেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আছেন।বিশেষত অধিকাংশ পুরুষ বাড়ি ছেড়েছেন। স্থানীয় সালেহা বেগম ও অন্যরা বলেন, রাতে কোন মোটরসাইকেল কিংবা কোনো গাড়ীর শব্দ শুনলেই মনে হচ্ছে এই বুঝি পুলিশ আসলো। আমরাও খুব ভয়ে আছি। পুরুষরা তো ঘটনার পর থেকেই বাড়িতে থাকেন না। তিন চারদিন ধরে মসজিদে কেউ আযানও দেয়না, নামাজও কেউ পড়েনা ।
তদন্ত শেষে দুপুরে রাণীশংকৈল ইউএনও’র কার্যালয়ে তদন্ত কমিটির সদস্যরা পুলিশের গুলিতে নিহত শিশুর বাবা বাদশা মিয়া ও মা মিনারা আকতারের সাথে প্রায় আধ ঘন্টা কথা বলেন। এ সময় কোন সংবাদকর্মীকে সেখানে থাকতে দেয়া হয়নি।
তদন্ত কমিটির প্রধান ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট রাম কৃষ্ণ বর্মন সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাস্থল পরির্দশন করা হলো। প্রয়োজনে আরো তদন্ত করা হবে। আগামি সাত কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসনের বরাবরে জমা দেওয়া হবে।