আনোয়ারুল ইসলাম,রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি।। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার এলাকায় গত কিছুদিন ধরে আরবিবি ইটভাটার মাটির ঢিবি দিনরাত খুঁড়ে চলেছে অগণিত মানুষ। ওই মাটি খুঁড়ে সোনার টুকরা,মুদ্রা ইত্যাদি পাওয়া যাচ্ছে শুনে হাজারো লোকজন যেন মাটি খোঁড়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। শুধু এলাকারই নয়, দুর দুরান্ত থেকে দলে দলে মানুষ কোদাল,খুন্তি হাতে এসে জুটেছে সোনার আশায় মাটি খোঁড়ার প্রতিযোগিতায়।
কাতিহারের এলাকার মানুষের দাবি, ওই ইটভাটার মাটির ঢিবি খুঁড়লেই মিলছে সোনা। এরইমধ্যে ওই মাটি খুঁড়ে শতাধিক মানুষ সোনা পেয়েছে বলে তারা জানান। তাই দিনে ও রাতে আলো জ্বেলে লোকেরা মাটি খুঁড়ছে। যদিও এখন পর্যন্ত সোনা পেয়েছে এমন ব্যক্তির সন্ধান বা সোনা পাওয়ার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পাওয়া যায়নি সোনার কোনো ছবি। মাটি খননকারিরা সাংবাদিকদেরও ঠিকমতো ছবি তুলতে দেয়নি,তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়েছে। এরমধ্যে উত্তেজিত লোকেরা পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা যতীন চন্দ্র রায় সহ আরও কয়েকজন বলেন, ভাটার মাটি খুঁড়ে সোনা পেয়েছে কয়েকজন। কিন্তু কে পেয়েছে এ কথা স্বীকার করছে না কেউ বা কোনো তথ্যও দিচ্ছে না। যেহেতু তাদের দাবি অনেকেই পেয়েছে, তাই আমরাও মাটি খুঁড়ে দেখছি আরকি।
আরবিবি ইটভাটার ব্যবস্থাপক লিটন আলী বলেন, কাতিহার শ্যামরাই মন্দিরের পাশ থেকে মাটি খনন করে ইটভাটায় স্তূপ করা হয়েছে। গুজব উঠেছে ওই মাটির স্তূপ থেকে নাকি সোনার জিনিস পাওয়া গেছে। এরপর থেকেই সাধারণ মানুষ দিনরাত ওই মাটির স্তূপ খোঁড়াখুঁড়ি করে যাচ্ছে । তবে কেউ সোনার কোনো অংশ পেয়েছে, এমন খবর তারা পাননি বলে লিটন জানান।
এ বিষয়ে রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, বিষয়টি এর আগেও জেনেছি।মাটি খোঁড়ার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত দু’দিন ধরে লোকজন আবার একই কাজ শুরু করেছে। তাই আজ(২৫ মে) রাত সাড়ে দশটা থেকে ওই এলাকায় জননিরাপত্তার স্বার্থে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় পুলিশ পাহারায় আছে বলেও ইউএনও জানান।