আনোয়ারুল ইসলাম,রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি।
পৌর অফিস সূত্রে জানা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল প্রকল্পের আওতায় সোলার স্টিক লাইট স্থাপনের জন্য পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলি এসএম জাবেদ আলি স্বাক্ষরিত টেন্ডার নোটিশ লটারির(এলটিএম) মাধ্যমে ২ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করে গত ২১ আগস্ট দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সিডিউল কেনার শেষ তারিখ ছিল গত ৮ সেপ্টেম্বর।
এ দরপত্রের বিষয়ে কিছু জানতে না পেরে স্থানীয় ঠিকাদাররা ইউএনও এবং স্থানীয় সরকার জেলা শাখার উপ-পরিচালক বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। প্রসঙ্গত, এ দরপত্রে স্থানীয় ঠিকাদাররা অংশগ্রহণ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউএনও সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির গত ৬ সেপ্টেম্বর পৌর কার্যালয়ে এসে বিষয়টি অবগত হন।
সূত্রমতে, নিয়ম অনুযায়ি দরপত্রের কাজটি লেসের( ওটিএম) পদ্ধতিতে হওয়ার কথা বিধায় দরপত্রটিকে ত্রুটিপুর্ণ বিবেচনায় পৌর মেয়র গত ১ সেপ্টেম্বর স্থগিত করে চিকিৎসার জন্য ভারতে চলে যান। এ বিষয়ে ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি
আবু তাহের বলেন, আমরা স্থানীয় ঠিকাদার,আমাদের এ টেন্ডারে অংশগ্রহণের যোগ্যতা আছে কিনা সে সিডিউল তো আমরা
পাইনি, আমাদেরকে কিছু জানানোই হয়নি। তাই আমরা এ দরপত্রের তারিখ পরিবর্তনের আবেদন করেছি। পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দরপত্রের নোটিশে ত্রুটি থাকার কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। এর সিডিউল তৈরি না হওয়ায় তা কোনো দপ্তরে জানানো হয়নি।
সহ-প্রকৌশলী জাবেদ বলেন, এ দরপত্র বিজ্ঞপ্তি মেয়র মহোদয়ের অনুমোদনেই প্রকাশ করা হয়েছে। তবে, এতে কিছু ত্রুটি হওয়ায় তিনি এটা স্থগিত করেছেন। এ দরপত্রের সিডিউল তৈরি বা বিক্রিও হয়নি। তাই এটি এখন বাতিল বলে গণ্য হবে।
এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, আসলে মেয়র সাহব গত ১ সেপ্টেম্বর দরপত্রটি স্থগিত করেছেন।তবে,তার অফিসের লোকেরা আমাকে এ বিষয় অবগত করেনি। পরে গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রকৌশলি সাহেব আমার কাছে এসে ভুল স্বীকার করেছেন। এদিকে এ দরপত্র স্থগিতের ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।