বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক। রাজার সঙ্গে রানি এবং রাজ পরিবারের সদস্যরাও বাংলাদেশে এসেছেন। ১১ বছর পর রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক বাংলাদেশে সফরে এলেন।
সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন রাজা জিগমে খেসার। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে রাজাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এসময় রাজাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভুটানের রাজা ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন। সেখানে গিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। সেখানে রাখা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করার রীতি রয়েছে অতিথিদের।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবগঠিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই কোনো বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের প্রথম সফর। এই সফরে ভুটানের রাজা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর ও একটি চুক্তি নবায়নের কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, ২৫ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সফরে ভুটানের রাজা আমাদের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
আজ দুপুরে প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতে স্বাস্থ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, পর্যটন, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি সমন্বয়, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ট্রানজিট, অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি, ভারতকে সাথে নিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিনিময়ে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা, স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে উদ্ভূত চ্যালঞ্জসমূহ মোকাবিলায় সহযোগিতা আলোচনায় প্রাধান্য পাবে বলে জানান ড. হাছান।
হাছান মাহমুদ জানান, ভুটানের রাজা ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ভোরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, সকালে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউিট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল পরিদর্শন, বিকেলে রাষ্ট্রপতির সাথে বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
মন্ত্রী বলেন, ২৭ মার্চ পদ্মা সেতু এবং নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শন এবং ২৮ মার্চ কুড়িগ্রামে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে বিকেলে সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে রাজা বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী রাজাকে বিদায় জানাবেন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গার্ড অব অনার প্রদান করবেন।