বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু স্থানীয় সময় আজ বুধবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে জানান রিজার্ভে থাকা সৈন্যদের মধ্য থেকে ৩ লাখ সৈন্য পাঠানো হবে ইউক্রেনে।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে পুতিন বলেন, এটি রাশিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করার জন্য একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। পশ্চিমারা রাশিয়াকে দুর্বল ও ধ্বংস দেখতে চায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। জবাবের জন্য সব অস্ত্র প্রস্তুত আছে বলেও হুঁশিয়ারি দেন পুতিন।
এদিকে, মস্কো দাবি করেছে—বিগত ৭ মাসের যুদ্ধে রাশিয়া প্রায় ৬ হাজার সৈন্য হারিয়েছে। শোইগু বলেছেন, সব মিলিয়ে ৫ হাজার ৯৩৭ জন সৈন্য মারা গেছেন। রাশিয়ার এমন দাবিকে অবশ্য আমলে নেয়নি পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো। গত আগস্টেই মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন জানিয়েছিল, তাদের বিশ্বাস রাশিয়া অন্তত ৭০ থেকে ৮০ হাজার সেনা মারা গেছেন কিংবা আহত হয়েছেন। তার আগে, গত জুলাইয়ে পেন্টাগন জানিয়েছিল রাশিয়ার অন্তত ১৫ হাজার সেনা মারা গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার কার্যকর এবং রিজার্ভ মিলিয়ে প্রায় ২৯ লাখ সৈন্য রয়েছে। এর মধ্যে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত ৯ লাখ এবং রিজার্ভে রয়েছে আরও ২০ লাখ। বিপরীতে ইউক্রেনের সেনা সংখ্যা সব মিলিয়ে ১০ লাখ ৯৬ হাজার। এর মধ্যে কার্যকর সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৯৬ হাজার এবং রিজার্ভে রয়েছে ৯ লাখ।