জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনার দ্বিতীয় দিনে অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, এ ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের একটি চিত্র নিখুঁতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
সংবিধান অনুযায়ি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে রাষ্ট্রপতি গত ৫ জানুয়ারি এ ভাষণ দেন। রীতি অনুযায়ি এ ভাষণ সম্পর্কে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এ প্রস্তাবটি সমর্থন করেন সরকারি দলের সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার।
ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় আজ অংশ নেন রেল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, সরকারি দলের সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, বেনজির আহমেদ, মহিববুর রহমান, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, মেরীনা জাহান, মোছা. খালেদা খানম ও জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
আলোচনায় অংশ নিয়ে রেল মন্ত্রী বলেন, রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নে সরকার নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। দেশের প্রতিটি জেলাকে রেল সংযোগের আওতায় আনার জন্য সরকার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণের জন্য আধুনিক, যুগোপযোগী ও আরামদায়ক রেলসেবা উপহার দিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণে গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে বিশ্বের বুকে মর্যাদার সাথে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়েছে, তা সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের এ উন্নয়ন বিশ্বের অনেক দেশের কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
তারা বলেন, শেখ হাসিনা ও তার সুযোগ্য ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরে বাংলাদেশ আজ ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
এছাড়া দক্ষতার সঙ্গে বৈশ্বিক মহামারি করোনা মোকাবেলা করে দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। করোনাকালে জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জনে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ। এ ধারা অব্যাহত রেখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এজন্য তারা নতুন করে শুরু হওয়া বিএনপি জামায়াতের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান।বাসস