গ্যাস নিয়ে হুঁশিয়ারিটা আগে থেকেই দিয়ে আসছিল রাশিয়া। এবার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার আনুষ্ঠানিক রূপ দিলেন। আগামীকাল শুক্রবার থেকে বিদেশি ক্রেতাদের অবশ্যই রাশিয়ার ব্যাংকে রুবলভিত্তিক হিসাব খুলতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার এ মর্মে একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।
রুশ মুদ্রা রুবলে দাম পরিশোধ করা না হলে অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হবে গ্যাস সরবরাহ। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে দরপতনের শিকার রুবলকে চাঙ্গা করানোর চেষ্টা হিসাবে দেখা হচ্ছে পুতিনের এ ঘোষণাকে।
রুশ গ্যাসের বড় ক্রেতা জার্মানি ইতিমধ্যে বলেছে, তারা রাশিয়ার ব্ল্যাকমেইলে নতিস্বীকার করবে না। ফ্রান্সও অনুরূপ কথা বলেছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তেলের বাজারের ওপর চাপ কমাতে তার দেশের কৌশলগত মজুদ থেকে রেকর্ড পরিমাণ তেল সরবরাহের ঘোষণা দেবেন বলে প্রচারমাধ্যমে বলা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ বৃহস্পতিবার মস্কোতে বলেন, ‘কেউ আমাদের কাছে বিনামূল্যে কিছু বিক্রি করে না। আমরাও কোনো দাতব্য কাজ করতে যাচ্ছি না। ’
পুতিন বলেছেন, দাম পরিশোধের মাধ্যম রুবলে ধার্য করার অর্থ হচ্ছে রাশিয়ার সার্বভৌমত্বকে শক্তিশালী করা। পুতিনের স্বাক্ষরিত আদেশের অর্থ, রাশিয়ার গ্যাসের বিদেশি ক্রেতাদের সেদেশের গাজপ্রম ব্যাংকে হিসাব খুলে এতে ইউরো বা মার্কিন ডলার স্থানান্তর করতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশি ক্রেতাদের গ্যাসের জন্য রুবলে দাম দেওয়ার মাধ্যমে বাজারে মুদ্রাটির অবস্থা ভালো হতে পারে। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পরে রুবলের মান দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। তবে তা পুনরুদ্ধার হতে শুরু করেছে।
পশ্চিমা কম্পানি এবং সরকারগুলো রুবলে গ্যাসের দাম পরিশোধের রুশ দাবিকে বিদ্যমান চুক্তির লঙ্ঘন দাবি করে আগেই প্রত্যাখ্যান করেছিল। কারণ ওই দাম ইউরো বা মার্কিন ডলারে ঠিক করা হয়েছে।
ইইউ তার গ্যাসের প্রায় ৪০% এবং জ্বালানি তেলের ৩০% তেল রাশিয়া থেকে পায়। সরবরাহ ব্যাহত হলে এর কোনো সহজ বিকল্প নেই।
সূত্র : বিবিসি