ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সপ্তম দিনে ব্যাপক তাণ্ডব চালাচ্ছে রুশ সেনারা। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না ইউক্রেনের কোনও ভবনই। শিশুদের নার্সারি স্কুল থেকে হাসপাতাল, বসত বাড়ি থেকে অফিস বিল্ডিং সব ধ্বংস করে দিচ্ছে তারা।
বুধবার ইউক্রেন সরকারের কাছ থেকে শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রুশ আগ্রাসনের বলি হয়েছেন অন্তত দু’হাজারের বেশি সাধারণ মানুষ। এবং দেশ ছেড়ে গেছে অন্তত নয় লক্ষ মানুষ।
ইউক্রেন সরকার বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে দাবি করছে, এখনও অক্ষত দেশের দুই প্রধান শহর, রাজধানী কিয়েভ ও দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী খারকিভ। তবে মস্কো থেকে দাবি করা হয়েছে, খারকিভ দখল করে ফেলেছে রুশ সেনারা। যদিও এই খবর স্বীকার করেনি ইউক্রেন।
এ ব্যাপারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্ক্সির পরামর্শদাতার দাবি করেছেন, আড়াই লক্ষ জনসংখ্যার খারকিভে এখনও প্রতিরোধ জারি রয়েছে। তা মোটেই রুশ বাহিনীর দখলে চলে যায়নি।
এর আগে বুধবার সকাল থেকেই খারকিভে বিমান হামলা চালাতে থাকে রুশ বাহিনী। এর মধ্যে রুশ প্যারা ট্রুপার নামতে থাকে। রাস্তায় রাস্তায় শুরু হয়ে যায় মুখোমুখি লড়াই। একই সঙ্গে চলতে থাকে বিমান থেকে লক্ষ্য নির্দিষ্ট করে হামলাও। গোটা দেশেই রুশ হামলার ক্রমশ বিস্তার ঘটছে। রাজধানীতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে মুহুমুর্হু বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ। কিভের টেলিভিশন টাওয়ারও উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া।