রেমিট্যান্স কিছুটা বাড়লেও প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না। প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়াতে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের প্রতিফলনও তেমন ঘটছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত ডিসেম্বর মাসের ১৬ দিনের প্রতিবেদনে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্সের হালনাগাদ প্রতিবেদনের এমন তথ্য উঠে আসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ১৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৪ কোটি ১০ লাখ (৯৪১ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার। টাকার অংকে যা প্রায় ১০ হাজার ৬৮ কোটি টাকা।
গত নভেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে এই রেমিট্যান্স কিছুটা বেশি। অক্টোবর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। এ হিসাবে নভেম্বর মাস বা ডিসেম্বর ১৬ দিনের রেমিট্যান্স বেশি না হলেও কিছুটা ইতিবাচক আছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে নানামুখি উদ্যোগ নেওয়া হয়। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসায়িত করতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়। রেমিট্যান্স পাঠাতে আগে প্রণোদনা ছিল ২ শতাংশ। সর্বশেষ তা বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়।
এছাড়া রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা প্রদান, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজীকরণ পাশাপাশি প্রবাসীদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণ অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধকরণ ও রেমিট্যান্স পাঠাতে টাকার উৎস জিজ্ঞাসা করার অপসন বন্ধ করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে ব্যাংক ভিত্তিক রেমিট্যান্স আসা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ডিসেম্বর ১৬ দিনে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যার প্রভাব পড়েছে রেমিট্যান্সে।
বেসরকারি ব্যাংকের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৬ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার। আর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪ কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার। আর বিশেষায়িত এক ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ২৫ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ লাখ মার্কিন ডলার।
ডিসেম্বর প্রথমার্ধেও যথারীতি কোনো রেমিট্যান্স আসেনি সাত ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকগুলো হলো, রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, উরি ব্যাংক এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রেই বরাবরই ব্যাংকগুলো পিছিয়ে।