আবুল কালাম আজাদ(রাজশাহী) :-
নানাবিধ বহু সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশ রেলওয়ে। এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ রেলওয়ে কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগ নেতারা রেলের সমস্যা গুলি চিহ্নিত করে তার সমাধানের জন্য, রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের সচি ব ও বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্ব উপস্থিত মহাপরিচালকের নিকট ইতিমধ্যেই স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
কিন্তু কর্তৃপক্ষ এসব সমস্যা সমাধানে কর্ণপাত ও অবহেলা করায় দিন দিন রেলওয়ের সমস্যা বেড়েই চলেছে।
শ্রমিক লীগ নেতারা বলছেন তারা ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৭ বার কর্তৃপক্ষকে লিখিত পত্রের মাধ্যমে অবহিত করেছেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এসব সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষ তাছাড়া ভূমিকা পালন করছেন।
সর্বশেষ ১০সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে তারা রেলের ১১ টি সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধানে রেলপথ মন্ত্রীবরাবরে লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় রেলওয়ে শ্রমিক লীগ রাজশাহীর নেতৃবৃন্দ ১১ সেপ্টেম্বর রোববার রেলওয়ে পশ্চিম রাজশাহীর মহাবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদারের নিকট ১১ দফা সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।
১১ টি সমস্যার মধ্যে রয়েছে:-
১। রেলওয়ে একটি রাষ্ট্রীয় সেবামূলক প্রতিষ্ঠান এখানে আউটসোর্সিং এর নামে ঠিকাদারদের মাধ্যমে লোকবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে হবে জরুরি প্রয়োজনে টিএলআর নিয়োগ দেওয়া।
২। নিয়োগবিধি সংশোধন, পোষাকোটা অতীতের ন্যায় না করা পর্যন্ত সকল নিয়োগ প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা এবং অতীতের মত রেল কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নিয়োগ কমিটি গঠন করাএবং লিখিত পরীক্ষায় ৫০% নাম্বার পেলেই মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়।
৩। পদোন্নতির ক্ষেত্রে অতীতে যে ভাবে রেলওয়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পদোন্নতি প্রদান করা হত বর্তমানে তা করতে হবে।
৪। আয়বাস সংক্রান্ত জটিলতা অবসান করে নির্ধারিত তারিখে শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান ।
৫। স্থায়ী কর্মচারীদের মত নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে পদায়ন গেইটম্যানদের অবিলম্বে স্থায়ীকরণ করন।
৬। সমবেতন ও সমস্কেলে পূর্বের ন্যায় পদবী পরিবর্তন এবং কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরন করলে পোষ্যদের ৩য়-৪র্থ শ্রেনীতে
যোগ্যতা অনুসারে নিয়োগ প্রদান।
৭। অনউৎপাদনশীল ক্ষেত্রে টাকা ব্যয় না করে অরাজীর্ণ রেললাইন সংস্কার করে রেলকে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা করা।
৮। পরিকল্পনা, পরিবেশনায় ও বাস্তবায়নে শ্রমিক-কর্মচারীদের অংশগ্রহনের নিমিত্তে অবিলম্বে সিবিএ নির্বাচনের ব্যবস্থা কর ।
৯। সহজ-সিএনএস এর পরিবর্তে রেলের নিজেস্ব ব্যবস্থাপনায় রেলের টিকিট সিস্টেম পরিচালনা ও বিক্রির ব্যবস্থা করা।
১০। নিয়োগবিধি ২০২০ এর অলোকে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন পদের নিয়োগ পরীক্ষায় পোষা কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা, প্রতিবন্ধী মহিলা কোটী, জেলা কোটার ভিত্তিতে কতজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তা প্রকাশ করা এবং ১১। বুলেট ট্রেনের প্রকল্প সম্ভবতা যাঁচাইয়ের নামে ব্যয়কৃত ১১০ কোটি টাকা অপরব্যয়কারীদের তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেলওয়ে শ্রমিক লীগের ওপেন লাইন ও সদর শাখার সভাপতি মোতার হোসেন ও জহুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ও এম এ আক্তার।
এছাড়া এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও রেলওয়ে শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকারী সভাপতি ওয়ালি খান,
সহ সম্পাদক ( ১)সাদিকুল ইসলাম,
অতিরিক্ত সম্পাদক জয়েদ হোসেন ,সহ সভাপতি মান্নান বাবু ,,যুগ্ম সম্পাদক সফিকুল ইসলাম,, সহ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ মজুমদার, সহ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হবি, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক তাজমুল হক,
সহ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সহ
সুজন সদস্য আজমুল হক রাজু সদস্য সাব্বির হোসেন, সদস্য মামুন, রাব্বি সহ রেল শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।