এখন প্রযুক্তির যুগ, মানুষের কাজকে সহজ করার জন্য বিভিন্ন নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হচ্ছে। বিভিন্ন কলকারাখানায় মানুষের বিকল্প হিসেবে কাজ করছে রোবট। যুদ্ধ ক্ষেত্রেও মানুষের বিকল্প রোবট তৈরিতে পৃথিবী অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কিন্তু চিন্তার বিষয় হলো, বর্তমান দুনিয়ায় জৈবিক চাহিদা পূরণের জন্য মানুষের বিকল্প রোবট বানানো শুরু করেছে।এ ধরনের উদ্ভাবন বিশ্বের জন্য মোটেই কল্যাণকর নয়।
কারণ ইসলাম ধর্মমতে, জৈবিক চাহিদা পূরণের নির্দিষ্ট ক্ষেত্র রয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘(সফল মুমিন তারা) যারা তাদের নিজেদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। তবে তাদের স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন দাসী ছাড়া, নিশ্চয়ই এতে তারা নিন্দিত হবে না। অতঃপর যারা এদের ছাড়া অন্যদের কামনা করে, তারাই সীমা লঙ্ঘনকারী। ’ (সুরা মুমিনুন, আয়াত : ১ ও ৫-৭)
তাফসিরে মাআরেফুল কোরআনে এ আয়াতের ব্যাখ্যায় লেখা হয়েছে, নিজের বিবাহিতা স্ত্রী কিংবা শরিয়তসম্মত দাসী (যা বর্তমানে রহিত হয়ে গেছে) ছাড়া আর কোনো পদ্ধতিতে জৈবিক চাহিদা পূরণ করার সুযোগ নেই। এ দুটি পদ্ধতি ছাড়া পৃথিবীতে জৈবিক চাহিদা পূরণের যত পন্থা আছে, সবই নিষিদ্ধ। (তাফসিরে মাআরেফুল কোরআন উর্দু : ৬/২৯৭)
তাই রোবটের সঙ্গে জৈবিক সম্পর্ক স্থাপন করা বৈধ নয়। জৈবিক চাহিদা পূরণের বিশেষ পুতুল ও টয়গুলোরও একই বিধান।