দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন শনিবার (২৯ জুন) বিকেল ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হবে। আজ অর্থ বিল উত্থাপন করাসহ পাস হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া রোববার (৩০ জুন) পাস হবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট। নতুন বাজেট সোমবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে।
সংসদ ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত বাজেটে ছোট দু-একটি বিষয় ছাড়া তেমন কোনো বড় সংশোধনীর সম্ভাবনা নেই। প্রস্তাবিত বাজেটে সংসদ সদস্যদের আমদানি করা গাড়ির ওপর শুল্ক আরোপের আহ্বান জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবু হাসান মাহমুদ আলী।
এ পদক্ষেপ থেকে সরে আসবে সরকার। কেননা সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান আদেশ সংশোধনের কোনো উদ্যোগ চলতি সংসদ অধিবেশনে নেয়া হয়নি। ফলে আগের মতো এবারও এমপিরা শুল্কমুক্ত কর সুবিধা আমদানি করতে পারেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের পর থেকে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখার বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত বাজেটে এই প্রস্তাবে কোনো পরিবর্তন আসছে না।
অন্যদিকে, চূড়ান্ত বাজেটে আয়কর ও কাস্টমস সংক্রান্ত কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। এরমধ্যে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের চাপে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কগুলোর কর অবকাশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অর্থাৎ, আগের মতোই এসব অঞ্চল ও পার্কের কর অবকাশ সুবিধা বহাল থাকতে পারে।
গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট।
প্রস্তাবিত বাজেটে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে, বাজেটে বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি ব্যাংক থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এছাড়া সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।