রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও পল্টন এলাকায় অনুমোদনহীন নকল প্রসাধনী ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন মজুদ ও বিক্রি করায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ০১ জনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৪ এপ্রিল ২০২২ খ্রিঃ তারিখ সকাল ০৯:৩০ ঘটিকা হতে সন্ধ্যা ১৮:০৫ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও পল্টন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এসময় বিএসটিআই এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লেখিত এলাকায় অনুমোদনহীন খাদ্যদ্রব্য ও কাগজ উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে ১। জয় কেমিক্যাল কোম্পানী’কে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, ২। হিমেল কেমিক্যাল কোম্পানী’কে নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, ৩। সোহান কেমিক্যাল এন্ড ফুড প্রোডাক্ট’কে নগদ ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, ৪। সাফায়েত এন্টার প্রাইজ’কে নগদ – ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, ৫। শুভ এন্টার প্রাইজ’কে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, ৬। আনোয়ার ট্রেডিং ইন্টারনেশনাল’কে নগদ- ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, ৭। আন-নাফি ষ্টেশনারী’কে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা ও ৮। আমেনা কর্পোরেশন’কে নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা করে ০৮টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ১১,৫০,০০০/- (এগার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা ও ০১ জন’কে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে। এছাড়া বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে উক্ত মোবাইল কোট আনুমানিক ২,০০,০০০/- টাকা মূল্যের ৩১০ কেজি নকল ট্যাংক, ২,০০,০০০/- টাকা মূল্যের ২,০০০ কেজি নকল লবন ও ৬২,০০০/- টাকা মূল্যের নকল কাগজ জব্দ ও ধ্বংশ করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা অনুমোদনহীন নকল প্রসাধনী ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন মজুদ ও বাজারজাত করে আসছিল বলে জানা যায়।