রাজধানীর কদমতলী ও ডেমরা এলাকায় নকল বৈদ্যুতিক তার, ভেজাল ও অনুমোদনহীন খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে ।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ মে ২০২২ খ্রিঃ তারিখ সকাল ১০:১০ ঘটিকা হতে রাত ২১:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল রাজধানীর কদমতলী ও ডেমরা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এসময় বিএসটিআই এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লিখিত এলাকায় নকল বৈদ্যুতিক তার, ভেজাল ও অনুমোদনহীন খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে “উর্মি ক্যাবলকে” ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, “আর পি ইলেকট্রনিক্সকে” ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, “আর ই পি ক্যাবলকে” ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, “এডিশন্স ক্যাবলকে” ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, “মিমি আইসক্রিমকে” ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা, “মা আইসক্রিমকে” ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, “আম্বর হনিকে” ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, “শাহ আলি বেকারিকে” ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা ও “ভারজিন বেকারিকে” ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা করে ০৯টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ১২,৫০,০০০ (বারো লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা প্রদান করেন। এছাড়া বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক আনুমানিক ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা মূল্যের নকল বৈদ্যুতিক তার জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন ধরে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল বৈদ্যুতিক তার, ভেজাল ও অনুমোদনহীন খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করে আসছিল বলে জানা যায়।