–ঢাকার ডেমরা, কদমতলী, যাত্রাবাড়ী ও কেরাণীগঞ্জ এলাকায় অবৈধ ঔষধ ও রাসায়নিক দ্রব্য, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, মশার কয়েল এবং নকল প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা; ০২ জনকে সাজা প্রাদান।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে ।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ০৮ আগস্ট ২০২২ খ্রিঃ তারিখ র্যাব সদর দপ্তর এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল ঢাকার ডেমরা, কদমতলী, যাত্রাবাড়ী ও কেরাণীগঞ্জ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এসময় বিএসটিআই এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লিখিত এলাকায় অবৈধ ঔষধ, রাসায়নিক দ্রব্য, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, মশার কয়েল এবং নকল প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে সজিব কেমিক্যাল কোম্পানী, ডেমরাকে নগদ- ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা, নিউ দিলখুশ বেকারী, ডেমরাকে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, হাইকো কনজিউমার প্রডাক্টস, ডেমরাকে নগদ- ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, রাব্বি ওয়েল এন্টারপ্রাইজ, ডেমরাকে নগদ- ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা, জে কে ফুড প্রডাক্টস, কদমতলীকে নগদ- ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা, নিউ সোলার পাওয়ার বুস্টার মশার কয়েল, কদমতলীকে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, হে বক্স এন্ড কোম্পানী, যাত্রাবাড়ীকে নগদ- ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকা, গ্রীন প্যাক ইন্ডাসট্রিজ লিঃ, কেরাণীগঞ্জ মডেলকে নগদ- ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা করে ০৮ টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট নগদ- ২৪,৫০,০০০ (চব্বিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা প্রদান করেন। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কনিক্স ট্রান্সমিশন জেল, কেরাণীগঞ্জের ০২ জনকে জরিমানা অনাদায়ে ০১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক আনুমানিক ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা মূল্যের অবৈধ ঔষধ, রাসায়নিক দ্রব্য, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য ও নকল প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধ ঔষধ, রাসায়নিক দ্রব্য, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, মশার কয়েল এবং নকল প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করে আসছিল।