মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সংস্কারের কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না সংস্থাটির নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন।
শনিবার (১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ‘শিগগির র্যাবের নিষেধাজ্ঞা বাতিল হচ্ছে না’। এ সময় র্যাবকে সংস্কারের কথা জানান এই মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
র্যাব ডিজি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বলবো র্যাব সংস্কারের কোনো প্রশ্নই দেখি না। আমরা এমন কোনো কাজ করছি না যে র্যাবকে সংস্কার করতে হবে। আমাদের পূর্ব থেকে যে বিধিবিধান আছে, সেই বিধিবিধান অনুসারে আমরা কাজ করছি। আমরা আইনের বাইরে কোনো কাজ করি না।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র্যাব কর্মকর্তাদের যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা সরকারিভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে। তারা যেসব বিষয় আমাদের কাছে (জানতে) চেয়েছেন, এরইমধ্যে আমরা সেসব বিষয়ের জবাব দিয়েছি। জবাব দেওয়ার পরে তারা আর পাল্টা প্রশ্ন করার সুযোগ পাননি।
র্যাব ডিজি বলেন, আপনি বললেন এতোগুলো লোক আমার উধাও হয়েছে, বলতে তো হবে তারা কারা? আমরা তো বলেছি কে, কোথায়, কী অবস্থায় আছে। আমি মনে করি না সরকার কিংবা আমাদের জন্য এটা বড় কোনো চ্যালেঞ্জ। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাবো। এটা সত্য যারা কাজ করে তাদের ভুলত্রুটি হতেই পারে। তবে দেখতে হবে, সেটা ব্যক্তিস্বার্থে করেছি, নাকি দেশের সাধারণ মানুষের জন্য করেছি। তাই বলবো, এসব বিষয় আমরা সরকারিভাবে মোকাবেলা করবো।
র্যাব সংস্কারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কোনো লিখিত প্রস্তাব করেছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে এম খুরশীদ হোসেন বলেন, না, আমাদের কাছে কোনো লিখিত প্রস্তাব দেয়নি।
দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অতীতে আমরা সবসময় পূজামণ্ডপে স্ট্যান্ডিং আনসার রাখতাম। গত বছর এটা করা হয়নি। করা হয়েছিল আনসারদের মোবাইল পেট্রল। এবার যখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়, আমি নিজে উপস্থিত ছিলাম। তখন আমি প্রস্তাব করেছিলাম, প্রত্যেকটা পূজামণ্ডপে শ্রেণিভেদে গুরুত্ব বিবেচনায় ৪ থেকে ৭ জন করে স্ট্যান্ডিং আনসার সদস্য থাকবে। পাশাপাশি থাকবে মোবাইল পেট্রল। র্যাব ফোর্সেস থেকেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মূল সমস্যা— সাইবার পেট্রলিংয়ের মাধ্যমে আমরা এগুলো চিহ্নিত করছি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেন, এটা এক ধরনের উসকানি। অসাম্প্রদায়িক দেশে তারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরি করে দেয়। কিছু দুষ্ট লোক আছে, তারা এগুলো চেষ্টা করবে।
তিনি বলেন, আমাদের বুঝতে হবে, দেশ আমাদের, এ সমাজ আমাদের। আমরা এখানে সব ধর্ম নির্বিশেষে…প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি, র্যাব তৈরি আছে, কোনো সমস্যা হবে বলে আমি বিশ্বাস করি না।