ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান। সম্প্রতি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ অঞ্চল ছেড়েছে রুশ সেনারা। এরই মধ্যে কিয়েভের আশপাশ থেকে নয় শতাধিক বেসামরিক মানুষের মরদেহ পাওয়া গেছে। স্থানীয় পুলিশ প্রধান এ তথ্য জানিয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে কিয়েভের আঞ্চলিক পুলিশ বাহিনীর প্রধান অ্যান্ড্রি নেবিতোভ জানিয়েছেন, মরদেহগুলো রাস্তায় ফেলে রাখা অথবা অস্থায়ীভাবে পুঁতে রাখা হয়েছিল। নিহতদের প্রায় ৯৫ শতাংশই গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
নেবিতোভের কথায়, ধ্বংসস্তূপের নিচে ও গণকবরগুলো থেকে প্রতিদিনই মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি মরদেহ পাওয়া গেছে বুচা শহরে। সেখানে এ পর্যন্ত সাড়ে তিনশর বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার ভোরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। এর ফলে শনিবার সকালে ইউক্রেনের বেশিরভাগ অংশে বিমান হামলার সাইরেন বাজানো হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্ফোরণের খবর নিশ্চিত করা যায়নি।
এর আগে, চলতি মাসের শুরুর দিকে বুচা শহরে প্রথমবারের মতো গণকবরের সন্ধান পায় ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
ইউক্রেনীয় নেতারা জানিয়েছেন, মারিউপোলে নিহত বেসামরিক লোকের সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শহরটি কয়েক সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে রুশ সেনারা।
এ ছাড়া ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মারিয়াপোলে ব্যাপক যুদ্ধ চলছে। ৪ লাখ লোকের শহর মারিয়াপোল বর্তমানে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। হাজারো বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। শহরটিতে আটকা পড়েছেন বহু মানুষ।
সম্প্রতি কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রবাহী প্রধান যুদ্ধজাহাজ ‘মস্কভা’ ডুবে যায়। এটি ডুবে যাওয়ার পেছনে দায় স্বীকার করেছে ইউক্রেন। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির দাবি, তাদের সামরিক বাহিনী কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার নৌবহরের এ ফ্ল্যাগশিপে মিসাইল হামলা চালিয়েছে। জাহাজটি হারানোর পর থেকে কিয়েভে রুশ হামলার পরিমাণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।