সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলা পরিদর্শনে এসেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এসময় তিনি বলেন, বান্দরবানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম সেনাবাহিনী। দৃশ্যমান কিছু কার্যক্রম আপনারা দেখতে পাবেন। এর ফল আপনারা সময়মতো পাবেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাই, আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা খুবই পরিষ্কার। বাংলাদেশের জনগণের শান্তির জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যা যা করণীয়, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ সেটাই করতে হবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা সক্ষম হব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
এছাড়া তিনি আরও জানান, বান্দরবানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে কয়েকজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৭ এপ্রিল) বান্দরবানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, ইনশাল্লাহ জনগনের মধ্যে শান্তি ফিরে আসবে। তারা দেখতে পারবে যে সন্ত্রাসীদের কোনো জায়গা বাংলাদেশে নাই। এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পূর্ণভাবে সক্ষম।
সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, শান্তি আলোচনার আড়ালে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে কুকি চিন। কুকি চিন তাদের উদ্দেশ্য জাহির করে ফেলেছে। আমরা এখন সরকার সামগ্রিকভাবে যা চিন্তা করেছে সেভাবে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ সব সমন্বিতভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করবো। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথ অভিযানে অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে বলে আমি মনে করি।
সেনাপ্রধান বলেন, শুধুতে আমরা তাদের (কেএনএফ) বিশ্বাস করেছিলাম যে শান্তি আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর জন্য পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ইনশাল্লাহ জনগণের মধ্যে শান্তি ফিরে আসবে। তারা দেখতে পারবে যে সন্ত্রাসীদের কোনো জায়গা বাংলাদেশে নাই। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সম্পূর্ণভাবে সক্ষম।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে ও পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র লোকজন। তারা টাকা লুট করে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে, একজন ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও আনসারের ১৪টি অস্ত্র ও গুলি লুট করে নিয়ে যায়। এসব ঘটনায় কেএনএফ জড়িত বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব ঘটনায় ছয়টি মামলা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এর জের ধরে রুমা উপজেলার বেশির ভাগ বাসিন্দার মধ্যে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। অপ্রয়োজনে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। আর কেউ বের হলেও সন্ধ্যার আগে ফিরছেন বলে জানা গেছে।
তবে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নূরে আলম মিনা বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।