জাবি প্রতিনিধি-আসিবুল ইসলাম রিফাত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দর্শন বিভাগের সাবেক এক ছাত্রের বিরুদ্ধে একই বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা নাজমুল মানছুর তমালকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার পাদদেশে শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া ইমু বলেন, ২০১৯ সালে ভর্তি হওয়ার পর দুই বছর আমরা তমাল স্যারের ক্লাস করেছি। স্যারের বিরুদ্ধে যে ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি আমাদের কাছে একবারেই ভিত্তিহীন মনে হয়েছে। আমরা স্যারের এরকম কোনো আচরণ কখনো দেখিনি।
স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী রাজিব মিয়া বলেন, স্যারের বিরূদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি অসত্য। এই অভিযোগের কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই। স্যার খুবই আন্তরিক এবং ছাত্রবান্ধব মানুষ। আমরা স্যারের পাশে আছি।
প্রসঙ্গত, গত ৪ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন নিজ স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার অভিযোগ এনে অধ্যাপক তমালের বিরুদ্ধে ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত—৪ এ একটি মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগককে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদীত দাবি করে মানববন্ধন করেন দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী অভিযোগের বিষয়টি নাকচ করে বলেন, স্যারের সাথে আমার সম্পর্ক শিক্ষক—ছাত্রীর সম্পর্কের বাইরে কিছু ছিল না। স্যারের বাসায়ও সবার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। আমি স্যারের সন্তানের মতই পরিবারের একজন ছিলাম। সাদ্দাম যে কম্পেলেইন করেছে সেটি তিন বছর আগের। তখন আমরা উভয়েই ক্যাম্পাসে ছিলাম। তখন সে কম্পেলেইন না করে এখন কেনো করছে? আসলে সে আমাকে ও তমাল স্যারকে ডিফেইম করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদীতভাবে এটি করেছে।
তিনি আরো বলেন, সাদ্দামের সাথে আমার বর্তমানে কোন প্রকার সম্পর্ক নেই। তবুও সে আমার সাথে যাকেই দেখে তার বিরূদ্ধেই নালিশ জানায়। আমার কর্মস্থলের কলিগের সাথেও বিরূদ্ধেও সে একই নালিশ জানিয়েছে। তার সাথে আমার বিচ্ছেদের মামলাটি আদালতে প্রক্রিয়াধীন। এই জানুয়ারিতে মামলার শুনানি আছে।