মোঃজিলহাজ বাবু ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীতে ক্রমশই পানি বাড়ছে। এতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ফলে আবাদি জমিসহ পদ্মা পাড়ের বাসিন্দাদের বসতবাড়ি বিলীন হচ্ছে নদীগর্ভে। নদী তীরবর্তী কয়েকটি এলাকার মানুষ এখন বিশাল নদী ভাঙনের আতঙ্কে দিন পার করছেন।
স্থানীয়রা জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার দূর্লভপুরের মনোহরপুর এলাকায় গত কয়েকদিন ধরেই তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েকদিন ধরে ভাঙন তীব্র হওয়ায় পদ্মাপাড়ের অনেক বাসিন্দা ভিটামাটি ছেড়ে নিরাপদ দুরত্বে আশ্রয় নিয়েছেন। নদী ভাঙনে ভূমিহীন হয়েছে কয়েকটি এলাকার মানুষ।
এছাড়াও নদীভাঙন দেখা দেওয়ায় হুমকির মুখে রয়েছে—নামো জগন্নাথপুরের পন্ডিত পাড়া, আয়ুব বিশ্বাসের পাড়া, বাদশা পাড়া, পন্ডিত পাড়া, দোভাগী এলাকার হাজার বিঘা ফসলি জমি ও বেশকিছু সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা।
পদ্মাপাড়ের বাসিন্দা রহমান আলী বলেন, মনোহরপুরে কিছুদিন ধরে নদী ভাঙন বন্ধ ছিল। এখন নদীতে পানি বাড়ছে, তাই ভাঙনও শুরু হয়েছে। এখনই প্রতিরোধের ব্যবস্থা না নিলে আশপাশের কয়েকটি এলাকার মানুষও নদী ভাঙনের শিকার হবেন। তলিয়ে যবে নদীগর্ভে এসব এলাকা।
ওই এলাকারই আরেক বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, মনোহরপুরের পদ্মাপাড়ের মানুষ ভালো নেই। চাষাবাদের জমি আর ভিটামাটি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের চোখের পানি থামছেই না। ভাঙন কবলিত এলাকায় সরকার নজর দিলে এখনও অনেক মানুষের কান্না থামানো সম্ভব।
এদিকে, মনোহরপুরের যেসব জায়গায় ভাঙন ধরেছে, ওই সব স্থানে জিওব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করছে পাউবো।
মনোহপুরের বাসিন্দা জুয়েল গণমাধ্যম কর্মী দের বলেন , এখন নদীতে পানি বাড়ছে, যার কারণে ভাঙন তীব্র হচ্ছে। জিও ব্যাগ ফেলেও নদী ভাঙন থামানো যাচ্ছে না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, মনোহরপুর এলাকায় জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা চলছে। ভাঙন রোধে প্রায় ৬০ লাখ টাকার কাজ হবে এবছরে।
প্রতি বছরই নদী ভাঙনের কারণে দুর্লভপুরের হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি নদীতে তলিয়ে যায়। এছাড়াও প্রায় দেড় শ থেকে দু শ পরিবারের ভিটামাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়। পদ্মাপাড়ের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের। কিন্তু পাউবোর প্রতিশ্রুতি অধরাই রয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে জেলার পাউবোর প্রকৌশলী মোখলেছুর বলেন, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।