হুমায়ুন কবির, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ ২৫ বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়ীতে তিনদিনব্যপী জাতীয় অনুষ্ঠানমালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ রবিবার বিকেল ৪টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী এমপি। এ উপলক্ষ্যে কুঠিবাড়ীর মূল মঞ্চে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি। সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপির সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সাংসদ সেলিম আলতাফ জর্জ এমপি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর। আলোচনা সভায় স্বারক বক্তব্য রাখেন প্রফেসর সনৎ কুমার সাহা।
আলোচনা শেষে মূল মঞ্চে রবীন্দ্র সংঙ্গীত, কবিতা আবৃতি, দলীয় নৃত্য ও রবীন্দ্রনাথের লেখা নাটক পরিবেশন করছেন কুষ্টিয়া জেলা ছাড়াও জাতীয় পর্যায়ের রবীন্দ্র শিল্পীরা। এদিকে তিনদিনের এই জন্ম উৎসবকে ঘিরে রবীন্দ্রপ্রেমী ও দর্শনার্থীদের ভিরে মুখর এখন কুঠিবাড়ী প্রাঙ্গন। করোনার কারনে গত দুই বছর এই অনুষ্ঠান না হওয়ায় এবারের আয়োজনকে ঘিরে তাদের মধ্যে ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সহযোগীতায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন বিশ^কবির ১৬১তম জন্মবার্ষিকি উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এবারের আয়োজনে কুঠিবাড়ীর মুল মঞ্চে প্রদিদিনই আলোচনা সভার পাশাপাশি জেলার ৬০টি সংগঠনসহ জাতীয় পর্যায়ের প্রায় ৬০জন শিল্পি কুঠিবাড়ীর মুল মঞ্চে রবীন্দ্র সংঙ্গীত, কবিতা আবৃতি, দলীয় নৃত্য ও রবীন্দ্রনাথের লেখা নাটক পরিবেশন করবেন।
কুঠিবাড়ী চত্ত্বরে বসেছে বিশাল গ্রামীন মেলা। নানা রকম পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা।
এবার দিয়ে ৩য় বারের মতো জাতীয়ভাবে কুঠিবাড়ীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম উৎসব পালন করা হচ্ছে। ঐতিহাসিক এই উৎসবকে নির্বিগ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কয়েকস্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, জমিদারী দেখাশোনার জন্য ১৮৯১ সালে প্রথম এই কুঠিবাড়ীতে আসেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নিরিবিলি পরিবেশ, জমিদারী আর ব্যবসার কারনে বার বার কুষ্টিয়ার এই কুঠিবাড়িতে ফিরে আসতেন তিনি। নিভূত বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কবীর জীবনের বেশকিছু মূল্যবান সময় কেটেছে। এখানে বসে রচিত গীতাঞ্জলী কাব্যই রবীন্দ্রনাথকে এনে দিয়েছে নোবেল পুরষ্কার আর বিশ্বকবির মর্যাদা। এছাড়াও তিনি এখানে বসেই আমাদের জাতীয় সঙ্গীতসহ অসংখ্য কালজয়ী সাহিত্য রচনা করেছেন। কুঠিবাড়িতে সংরক্ষন আছে সেসব দিনের নানা স্মৃতি।