Friday , 26 April 2024
শিরোনাম

শুধু আওয়ামী লীগের সময়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়: প্রধানমন্ত্রী

শুধু আওয়ামী লীগের সময়েই নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন। রোববার সেখানে বিবিসির লরা কুয়েন্সবার্গের সাথে সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে নিয়ে স্মৃতিচারণের পাশাপাশি বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ও গুমের অভিযোগ নিয়েও কথা বলেন তিনি।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নিতে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতেও সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

সাক্ষাৎকারে আগামী নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য বাবাসহ পরিবারের ১৮ সদস্যকে হারিয়েছি। এরপর ২১ বছর দেশে গণতন্ত্র ছিল না। প্রায় ২০ বার দেশে মিলিটারি ক্যু করা হয়েছে বা চেষ্টা করা হয়েছে। আর্মি থেকে রাজনৈতিক দল হয়েছে। তারা তো মানুষের কাছে কখনোই ভোটের জন্য যেত না। সবার অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আমার সংগ্রাম ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার এটা নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ রয়েছে।

বাংলাদেশে গুম ও জাতিসংঘের উদ্বেগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এ প্রশ্ন তোলে, তাদের দেখা উচিত নিজেদের দেশে কত মানুষ গুম হচ্ছে। অভিযোগ না করে সঠিক তথ্য নিয়ে কথা বলা উচিত।

প্রায় সাড়ে ছয় মিনিটের সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ের স্মৃতি ও কমওয়েলথে রানির ভূমিকাও তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি শুধু রানি ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন মমতাময়ী মা। তার সঙ্গে যতবার দেখা হয়েছে, আমি সেটা অনুভব করেছি।

তিনি বলেন, ‘আমি ৭ বার কমনওয়েলথ সামিটে অংশ নিয়েছি। এ ছাড়া ২০১২ সালে রানির দাওয়াতে অলিম্পিকে যোগ দিয়েছি। প্রত্যেকবার দেখা হয়েছে। ওনার অসাধারণ স্মরণশক্তি ছিল। একবার কমনওয়েলথ সম্মেলনে আমাকে দেখতে না পেয়ে রানি খোঁজ করেন হাসিনা কোথায়, ওকে দেখছি না কেন!’

রানিকে নিয়ে ব্যক্তিগত স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা জানান, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে তিনি প্রথম দেখেন ১৯৬১ সালে। রানি ওই বছর বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে) রাষ্ট্রীয় সফরে আসেন।

প্রধানমন্ত্রী জানান, তখন তিনি শিশু ছিলেন এবং বাবা শেখ মুজিবুর রহমান ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে মিলে রানিকে দেখেছিলেন।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রানির শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এখন তাকে ওয়েস্টমিনস্টার হলে রাখা হয়েছে। বিশ্বের বহু রাষ্ট্র ও সরকারের সাথে এরই মধ্যে রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বোন শেখ রেহানা ও লন্ডনে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমকে নিয়ে ঐতিহাসিক ওয়েস্টমিনস্টার হলে যান শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম সাংবাদিকদের জানান, তারা দুইজনই (শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা) শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন এবং দুঃখ ভারাক্রান্ত ছিলেন পুরোটা সময়। রানি দুই বোনকেই খুব ভালোবাসতেন। একজনকে দেখলে আরেক জনের কথা জিজ্ঞেস করতেন।

সাইদা মুনা তাসনিম জানান, রানির কফিনে শ্রদ্ধা জানানোর পর সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু সময় নীরবতা পালন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তাকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতরের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে রানির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে খোলা শোকবইয়ে সই করেন প্রধানমন্ত্রী।

Check Also

বাংলাদেশের উন্নতি দেখে লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদেরকে বলা হতো, এই অংশটি ‘পাকিস্তানের ওপর একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x