রাম বসাক, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ: আজ ১৫ মে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: ইতিহাসের পুননির্মাণ’ শীর্ষক সেমিনার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসম্প্রদায়িক, শৃঙ্খলমুক্ত, ক্ষুধা এবং দারিদ্র্যমুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তীকালে দীর্ঘদিন পশ্চিম পাকিস্তানে কারাবরণ শেষে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশে ফিরে এসেছিলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ তাকে অশ্রুসিক্ত নয়নে গ্রহণ করেছিল। তিনি বলেন ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে ঘাতকদের হাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যা সংঘটিত হওয়ার কারনে বাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাড়ে ছয় বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন, সেদিনও লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল নেমেছিল। এ যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এদেশের মানুষ যেভাবে স্বাগত জানিয়েছিল সেভাবেই শেখ হাসিনাকেও এদেশের মানুষ স্বাগত জানিয়েছিল।
প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বলেন শেখ হাসিনা দেশে ফিরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করলেন এবং অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে তিনি দলকে সংগঠিত করে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আবারও সোচ্চার করলেন, আন্দোলন রচনা করলেন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা অর্জন করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন এবং এখন পর্যন্ত তিনি সর্বোচ্চ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন, এটা কে তিনি অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা বলে উল্লেখ করেন । রবি ভিসি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে আসার পরে নিরলস পরিশ্রম করে তার পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন এবং বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন যুদ্ধাপরাধী ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘাতকদের বিচার করার মাধ্যমে। যে স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন সফল করার পথে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যা ইতিহাসের পূর্ননির্মাণ হিসেবে উল্লেখ করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনের একটি উক্তি তুলে ধরে বলেন “শেখ হাসিনার নেতৃত্বই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তনের মূল কারণ”।
উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি,
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ইন্জিনিয়ার মোঃ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ও কলামিস্ট অধ্যাপক আবদুল মান্নান, স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস।