প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকতে কোনদিনই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য শেখ হাসিনাকে সরাতে হবে বলেও জানান তিনি।
রোববার বগুড়ার এরোলীয়া থেকে তারুণ্যের রোডমার্চ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহী গিয়ে শেষ হবে রোডমার্চ। আদমদিঘী, নওগাঁ, মান্দা এলাকায় তিনটি পথসভা হবে। বিএনপির তিন সহযোগি সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছেসেবক দল ও ছাত্রদল এ রোডমার্চ করছে।
প্রধান অতিথি হিসাবে আছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুরুতে সভাপতিত্ব করছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। সমাপ্তির সভাপতিত্ব করবেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। সঞ্চালনায় আছেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে এসেও সংগ্রাম করতে হচ্ছে, লড়াই করতে হচ্ছে কেন? ভোটের অধিকার, মানুষের অধিকার, ভাতের অধিকারের জন্য। চাল দাম কত এখন ৭০/৮০ টাকা তাই না? চাল, ডাল, তেল প্রত্যেকটা জিনিসের দাম আকাশচুম্বী। বিদ্যুৎ দাম তিনি চার বার করে বাড়ানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই সরকার শুধু দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে ব্যর্থ হয়েছে তা নয়। এই সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করতেও ব্যর্থ হয়েছে। সরকার চুরি করে দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে। সবচেয়ে বড় চুরি হচ্ছে আমাদের ভোটের অধিকার। আবারও তারা চুরি করে ক্ষমতায় আসতে চায়। পারবে এবার ভোট চুরি করতে? উপস্থিত জনতা সমস্বরে বলেন ‘না’।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বন্দি করে রেখেছে। আজকে তিনি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। উন্নত চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে না। ডাক্তারা বলছেন, তাকে বাচাঁতে হলে তাড়াতাড়ি লিভার ট্রান্সফার করা দরকার, সেটা বিদেশ ছাড়া সম্ভব নয়। বারবার বলছি আমরা, পরিবার থেকে বলেছে কিন্তু তিনি (শেখ হাসিনা) শুনতে রাজি নয়। পরিস্কার করে বলতে চাই অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করার সুযোগ দিতে হবে। অন্যথায় সকল দায় দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
তিনি বলেন, কেউ আমাদের অধিকার দিয়ে দেবে না। আমাদের নিতে হবে। সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।রোডমার্চ থেকে এই বার্তাই দিতে চাই আসুন জেগে উঠুন। এই সরকারকে পরাজিত করুন।