ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ইসলাম ধর্ম অনুসারীদের কাছে ঈদ উল আযাহ একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে থাকে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সামর্থ্যবান মুসলমানেরা পশু কুরবানী দিয়ে থাকেন। কুরবানি পশু হিসাবে গরুর চাহিদা বেশি থাকায় প্রান্তিক কৃষক ও ছোট খামারিরা তা পালন করছে। কিছুটা বাড়তি লাভের আশায় ঈদকে সামনে সকাল হতে সন্ধ্যা পযন্ত গরুকে গোসল করানো খাবার দেওয়া নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন প্রান্তিক খামারিরা। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চন্ডিপুর, গড়েয়া মিলনপুর, সালান্দর আখানগর, নারগুন ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। আসন্ন ঈদ উল আযহার কুরবানীর জন্য প্রস্তত রয়েছে ১লক্ষ্য ৩০ হাজার পুশু যা জেলা চাহিদার তুলনায় ৫০ হাজার বেশি। নারগুনের খামারি শহিদুল ইসলাম বলেন কুরবানির ঈদের কয়েক সাপ্তাহ সময় আছে তাই বাড়তি লক্ষ্য রাখতে হচ্ছে যত্নে ও খাবারে কারনে গরুর স্বাস্থ্য কমে না যায়, তাহলে ভাল দাম পাবো। বর্তমান গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ার কিছুটা আশঙ্কা থাকলেও ভারতীয় গরু না আসেলে ঈদে ন্যায মূল্য পাওয়া যাবে। চন্ডিপুর গ্রামের শাহিন বলেন স্বপ্ন দেখছি ঈদে গরু বিক্রি করে কিছুটা ভালো লাভ হলে পরিবার ও সন্তানের জন্য ব্যয় করতে পারবেন এবং পরের বছরে জন্য দু একটা বেশি গরু কিনে পালতে পারবেন বলে জানান। গড়েয়া প্রান্তিক খামারি কবিরুল বলেন আমার খামারে সারা বছর জুড়ে কেনা বেচা হলেও ঈদে বাড়তি নজর রাখি, খামারের ভালো গরু গুলো করবানির জন্য প্রস্তুত করি। জেলা প্রাণীসম্পদের দেয়া তথ্য মতে, আসন্ন কোরবানি ঈদের জন্য জেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার পশু বাণিজ্যিক ও পারিবারিক ভাবে পালন করেছেন খামারি ও গৃহস্থরা। এর মধ্যে ৭৩ হাজার গরু ও ৫৭ হাজার ছাগল পালন করা হয়েছে। যা চলতি বছরের কোরবানির লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো সম্ভব। এছাড়াও জেলায় মোট ২৪ টি হাট রয়েছে কোরবানীর পশু বিক্রির জন্য। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান থেকে আমরা দেখেছি আমাদের জেলায় ৮০ থেকে ৮৫ হাজার কোরবানির পশু প্রয়োজন হয় । তবে এবছর আমাদের ১ লক্ষ ৩০ হাজার পশু পালন করা হয়েছে।যা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এজন্য আমরা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি যাতে বর্ডার এলাকা গুলো থেকে অনুপ্রবেশ কারীরা কোনভাবেই অবৈধভাবে পশু আমদানি করতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি বাড়ানোর অনুরোধ করেছি।