প্রবাদে আছে, মাঘের শীতে বাঘে কাঁপে। চলতি বছর প্রবাদের ফলাফল দেখতে পাচ্ছে দেশের মানুষ। তীব্র শীত আর ঘণ কুয়াশায় মাঘের শীত জাঁকিয়ে বসেছিল। মাঘের তীব্র শীতের মধ্যেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গত দুই দিন বৃষ্টি হয়েছে। তবে মেঘ কেটে গেছে, আপাতত বৃষ্টির আর সম্ভাবনা নেই। এর ফলে তাপমাত্রা কমে শনিবার (২০ জানুয়ারি) থেকে দেশের কিছু অঞ্চলে নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এ সময় সারাদেশের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে আগামীকাল রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। অন্য অঞ্চলেও হালকা থেকে মাঝারি মাত্রায় কুয়াশা পড়তে পারে। এ ছাড়া রাজশাহী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা এবং রংপুর বিভাগের বেশ কিছু এলাকায় আজ থেকে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।
দেশের বেশ কিছু এলাকায় গতকাল শুক্রবার বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে নোয়াখালীর হাতিয়া ও বাগেরহাটের মোংলায় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে পটুয়াখালী, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও সাতক্ষীরার অঞ্চলে। তবে কোনো এলাকাতেই ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ৪ মিলিমিটারের বেশি ছিল না। এ ছাড়া ভোলা, যশোর, খুলনা, কুমিল্লা, রাঙামাটি, চট্টগ্রাম, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের কিছু এলাকায় ১ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হয়েছে ফরিদপুর ও বরিশালে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা ছিল আরও বেশ কিছু অঞ্চলে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি, নীলফামারীর ডিমলায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি, কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি ও দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর বাইরে দেশের বেশির ভাগ এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গতকাল ১১ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল। আর ঢাকায় গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে।