২ শরা আগষ্ট সকালে হঠাৎ করেই দেখা যায় কলেজ ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বেশ কিছু রাজনৈতিক ব্যানার সবার অগোচরে সরিয়ে ফেলা হয়েছে, এমন দৃষ্টান্ত এর আগেও দেখা গিয়েছে এই ক্যাম্পাসে। এমন উদ্দেশ্য প্রনদিত ও কুরুচিপূর্ণ কাজের জন্য বিএনপি-জামাত সমর্থনকারী লোকেরাই দ্বায়ী বলে মনে করছেন প্রতিষ্ঠানের রাজনৈতিক অভিভাবকবৃন্দরা। খোজ নিয়ে জানা যায়, সেখানের অর্থপেডিক্স বিভাগের ক্লিনিকাল এসিস্ট্যান্ট, ডাঃ নাজমুল আরেফিন তানভীর এসব কর্মকান্ডের মুল হোতা। তারই উস্কানিতে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ (ইচিপ); যা অবৈধভাবে গঠিত, এর পদে থাকা ডাক্তারদেরকে ব্যবহার করে বিভিন্ন উদ্দেশ্যমুলক কাজ অনেকটা জোড়পূর্বকভাবেই করানো হয়।
জানা যায়,
২শরা আগষ্ট দুপুর আনুমানিক ২ টা বাজে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ছবি সম্বিলিত ব্যানার পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়, শুধু তাই নয় ক্যাম্পাসে যখন ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীরা ক্লাসে ব্যস্ত তখন ১০/১২ জনের সশস্ত্র ইন্টার্নী চিকিৎসক পরিচয়ধারী সহ কিছু ডাক্তার আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত পোস্টার ব্যানার গুলো ছিড়ে ফেলে।
সকালের ঘটনাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা একত্রিত হয়ে হাসপাতালের ডিরেক্টর এর কাছে ডাঃতানভীর আরেফিন এর বিচার দাবি করে।তারই ধারবাহিকতায় ডঃনাজমুল কে ডাকা হলে তিনি তা অস্বীকার করেন পরে ঘটনার সাথে সরাসরি যুক্ত সিনিয়র ওয়ার্ড মাস্টার মহিবুল্লাহ কে ঢাকা হলে তিনি গভর্নিং বডির সদস্যদের সামনে অকপটে স্বীকার করেন নাজমুল আরেফিন এর নাম,তার জবানবন্দিতেই প্রমানিত হয় এই জঘন্য কাজ ডাঃ নাজমুল আরেফিন তানভীর উদ্দেশ্যমূলকভাবে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগকে নিচূ করতে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করতেই করেছে।
উল্লেখ্য যে এই ব্যানারগুলোতে এই শাখার সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও অত্র এলাকার এমপি ও হাসপাতাল ও কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানের ছবি ছিল।
ডাঃ নাজমুল আরেফিন তানভীরের এমন জঘন্যতম অন্যায় প্রমানিত হওয়ায় হাসপাতালের ডিরেক্টর নিজে দ্বায়িত্ব নিয়ে বিষয়টি সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলে উক্ত শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ ছাত্রছাত্রীদেরকে ক্লাসে পাঠিয়ে দেয়। তার কিছুক্ষণ পরেই দুপুর ২টায় ছাত্রলীগের কর্মীদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে আবারও ডাঃ নাজমুল আরেফিন তানভীর এর উস্কানিতে ইন্টার্নী চিকিৎসকরা কলেজ ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণের ছাত্রলীগের সকল ব্যানার ছিড়ে ফেলে যার সকল প্রমান (ছবি ও ভিডিও) বিদ্যমান। এমন আচরণ খুবই ন্যাক্কারজনক ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই বিষয়ে পরবর্তীতে হাসপাতাল গভর্নিং বডির পক্ষ থেকে একটি ডিসিপ্লিনারী কমিটি করে বিচারের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জানা গেছে এই ডাঃ নাজমুল আরেফিন তানভীর হাসপাতালের বিভিন্ন টেনডারবাজির মত কাজেও অনৈতিকভাবে জরিত এবং হাসপাতালের উন্নয়নের নামে টাকা লুটপাটেরও অভিযোগ আছে তার নামে।
ছাত্রছাত্রীদের কথা বিবেচনা করে আপাতদৃষ্টিতে হাসপাতাল গভর্নিং বডির সম্মানিত সদস্যদের প্রতি পূর্ণ আস্তা রেখে ছাত্রলীগ তাদের সকল সৃষ্টিশীল কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে এবং এবং তাদের একটাই দাবি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন ছাত্রলীগের পতাকা তলে কোন স্বাধীনতার বিপক্ষের কলঙ্কের বীজ বপন করতে না পারে। এ বিষয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কৌশিক দে কে ফোন করে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, যারা এগুলো ঘটিয়েছে, কখনোই তারা আওয়ালীগের আদর্শ বুকে ধারণ করতে পারে না, তাই আমি মনে করি, তারা জামাত-শিবিরের এজেন্ট, এবং জামাত শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য তারা আওয়ামী লীগের লেবাস পড়ে আছে, আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি , এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ তানভির হাসান নাবিল বলেন, আমার ব্যক্তিগত ছবি ছিড়ে ফেললে আমি কষ্ট পেতাম না, আমার আবেগের জায়গা, বাঙালি জাতির আশ্রয়ের শেষ আশ্রয়স্থল, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন যখন ছিড়ে ফেলা হয়, তখন আমি চুপ করে বসে থাকতে পারিনা, আমি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ, এবং এই নব্য রাজাকারদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি করছি।