নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, খালেদা জিয়ার মুক্তি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদসহ নানা দাবিতে বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশ আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ২টায়।
কুমিল্লার ঐতিহাসিক টাউন হল মাঠে শুক্রবার থেকেই তিল ধারণের ঠাঁই নেই। হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী এবং সমর্থকের পদচারণায় মুখর গোটা নগরী।
কুমিল্লা সাংগঠনিক বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে নগরীসহ আশপাশের এলাকা ও সড়কগুলোতে হাজার হাজার নেতাকর্মী এবং সমর্থক অবস্থান নিয়েছেন। টাউন হল মাঠ ছাড়াও ঈদগাহ ও আশপাশের সড়কে অবস্থান করছেন নেতাকর্মীরা। টাউন হলের পশ্চিম পাশে কাপড় ও ত্রিপল বিছিয়ে রাত কাটান জেলা ও উপজেলা থেকে আসা কর্মীরা। গানে গানে আর আনন্দ উল্লাসে মাঠে দিন-রাত অতিবাহিত করেছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। সেখানেই তারা খাওয়া-দাওয়া সেরেছেন। প্যাকেট খাবার সরবরাহ করা হয়েছে তাদের জন্য।
এর আগে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনাসহ সাতটি বিভাগীয় গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের আগে রাজশাহীতে বিভাগীয় সমাবেশ করবেন তারা।
বিগত সমাবেশগুলোতে নানামুখী বাধা-বিপত্তি, হয়রানি থাকলেও কুমিল্লায় বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। কুমিল্লায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত কোনো নেতাকর্মী আটকের তথ্য পাওয়া যায়নি। কুমিল্লা জেলা পরিবহনের পক্ষ থেকেও কোনো ধরনের অবরোধ নেই।
কুমিল্লার গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশে লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটবে বলে ধারণা করছেন বিএনপি নেতারা।
অপরদিকে সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে কুমিল্লা সাংগঠনিক বিভাগের অধীনে বিভিন্ন সংসদীয় আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা পৃথক পৃথক শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। নিজেদের জনসমর্থন জাহির করতে মাঠের চারপাশে নেতারা দুদিন আগেই ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়ে কর্মী-সমর্থকদের দিয়ে জায়গা দখল করে রেখেছেন। হোটেল-মোটেলসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, জ্যেষ্ঠ নেতাদের ভবন, ফ্ল্যাটেও নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন।
টাউন হল মাঠে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার লোকসমাগম করা যাবে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, নেতাকর্মীরা নগরীর টাউন হল সংযোগ সড়কগুলোতে অবস্থান করবেন। কুমিল্লা টাউন হল থেকে পুলিশ লাইনস সড়ক, স্টেডিয়াম-ঈদগা সড়ক, রাজগঞ্জ ও টমসম ব্রিজ সড়কে অবস্থান করবেন নেতাকর্মীরা।
কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সড়ক-মহাসড়ক ও বিভিন্ন স্থাপনা ছেয়ে গেছে ব্যানার-ফেস্টুনে। অলিগলিতে প্রচার মাইক, নেতাকর্মীদের গণসংযোগ এবং লিফলেট বিতরণে সরব নগরী।