সজীব আহমেদ ১৯৮৮ সালের১৮ ই ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর পৌরসভার অন্তর্গত ৫ নং ওয়ার্ডের গড় গোবিন্দপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম এবং আওয়ামী পরিবারে জন্মগ্রহণ করে । পিতা-মোঃ সোনা মিয়া পেশা-একজন ব্যবসায়ী,মাতা-আমেনা বেগম গৃহিণী এবং একমাত্র ছোট ভাই সুজন আল মামুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আই আর(আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) বিভাগ থেকে ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে অনার্স,মাস্টার্স সমাপ্ত করেছেন।
সজীব আহমেদ ২০০৫ সালে সখিপুর পি এম পাইলট হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং ২০০৮ এইচএসসি করেন মুজিব অনার্স কলেজ থেকে পরে ২০১৪ সালে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
সজীব আহমেদ ছোট বেলা থেকেই বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এবং পর উপকারী একজন মানুষ পেশায় তিনি একজন সৎ মেধাবী পরিশ্রমি ব্যবসায়ী ও রাজনীতির প্রতি রয়েছে তার আগ্রহ।
পরিবারে ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা তারমধ্যে সখীপুরে প্রথম ৬ জন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার ১জন আমার চাচা আবু হানিফ আজাদ যিনি ওই সময় একটি সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। বর্তমানে তিনি সখিপুর পৌরসভার নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনোনীত নৌকায় মার্কা নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন এবং টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য পদ আছে।
1999 সালে সখীপুর-বাসাইলের উপনির্বাচনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিক এর বিপক্ষে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শওকত মোমেন শাহজাহান এর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করে এবং নৌকার স্বপক্ষে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে কাজ করে নৌকার বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়।
২০০২ সালে সখিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয় উক্ত বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি ফারুক হোসেন মানিক এবং বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক এম এ রউফ। সভায় নেতৃবৃন্দদের বক্তব্য দেয়,ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র, বঙ্গবন্ধুর প্রতি ছাত্রলীগের ভালোবাসা, বাংলাদেশের প্রতিটি কালো অধ্যায় উজ্জ্বলিত করতে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছাত্রলীগের প্রতি মনের মধ্যে অজানা এক প্রেমের সৃষ্টি করে ,আর সেই থেকে যৌবনের প্রথম প্রেম বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে তথা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ ও লালন করে সখিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষে জয় বাংলার স্লোগান দেওয়া শুরু করে,সেই সময় আওয়ামী লীগের স্বপক্ষে ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার পতনের পক্ষে,তারেক রহমানের নৈরাজ্যের বিপক্ষে জামাত-শিবিরের রাষ্ট্রবিরোধী কাজের বিপক্ষে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম হরতাল পিকেটিং করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম সফল করে।
২০০৬ সালে সখিপুর শহর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক হিসাবে রাজনৈতিক পথের যাত্রা শুরু করে। সেই সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইয়াজউদ্দি পতনের মিছিলে অংশগ্রহনকালে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক আটক হয়ে স্থানীয় থানায় কারাবন্দি অবস্থায় দীর্ঘ সময় পার করেছিলো, শিকার হয়েছে পাশবিক অত্যাচারে তবু পিছপা না হয়ে থানা থেকে ছাড়া পেয়ে আওয়ামী লীগের স্বপক্ষে আবার মিছিল-মিটিং,আন্দোলন-সংগ্রাম ও পিকেটিং প্রক্রিয়া বিদ্যমান রাখে। তার কিছুদিন পরে ফখরুদ্দিনের শাসনআমল শুরু হয় এবং সেই সময় আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সেনাবাহিনী কর্তৃক আটক হয়। তার বিরুদ্ধেও অনেক আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যায় সেনাবাহিনীর বিপক্ষে আর এ আন্দোলন কালে সেনাবাহিনী কর্তৃক শারীরিক অত্যাচারের শিকারও হয়।
২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে সখিপুর পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক এর দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং ২০০৯ সালের সাংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শওকত মোমেন শাহজাহানের নৌকার পক্ষে ছাত্রলীগের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ দের সাথে নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ১ লাখ ভোটের ব্যবধানে কাদের সিদ্দিক কে হারিয়ে নৌকার মাঝি শওকত মোমেন শাহজাহান সাহেবের বিজয় সুনিশ্চিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে।
২০১০ সালে সখিপুর শহর ছাত্রলীগের পুনরায় যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সখিপুর পৌরসভা নির্বাচনে আবু হানিফ আজাদ এর পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২০১২ সালে সখিপুর শহর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক এবং ২০১২ সালের মার্চ মাসে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিটি কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ সহ নিজের প্রতি সংগঠনের অর্পিত দায়িত্ব সততার সাথে পালন করে।
২০১৪ সালে শওকত মোমেন শাহজাহান মৃত্যুবরণ করেন তারপর সখিপুর উপ-সাংসদ নির্বাচনে অনুপম শাহজাহান জয় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হলে তার বিজয় সুনিশ্চিত করার লক্ষে ছাত্রলীগের সকল নেতৃবৃন্দ নিয়ে ব্যানার ফেস্টুন মিছিল নির্বাচনী প্রচারণা এবং শওকত মোমেন শাহজাহানের উন্নয়নের চিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরার কার্যক্রম অব্যাহত রেখে উপনির্বাচনে অনুপম শাহজাহান জয় বিজয় সুনিশ্চিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে।
২০১৪ সালে সখিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় এবং সেই সাথে ২য় বারের মতো ২০১৫ সালে মেয়র আবু হানিফ আজাদ কে নির্বাচিত করার লক্ষ্যে নৌকার পক্ষে ছাত্রলীগের ব্যানারে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যায়।
২০১৭ সালে সখিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং আহ্বায়কের দায়িত্ব পালনের সময় বাসাইল সখিপুর সাংসদ নির্বাচনে এ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম এর পক্ষে নৌকার বিজয় করার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং উক্ত নির্বাচনের জোয়াহেরুল ইসলাম এর বিজয় সুনিশ্চিত করতে সক্ষম হয়।
২০১৮ সালের ২ ই জুলাই ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
২০১৯ সালে সখিপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়। যুবলীগের দায়িত্ব হাতে নেওয়ার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ,সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশ মোতাবেক যুবলীগের প্রতিটি কর্মীকে সাথে নিয়ে যুবলীগের প্রতিটিকার্যক্রম সাংগঠনিকতার সাথে পালন করে আসছে। এ পর্যন্ত যুবলীগকে গতিশীল করার জন্য প্রত্যেকটি ওয়ার্ড কমিটি,ইউনিয়ন কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে ইতিমধ্যে একটি ইউনিয়ন সম্মেলনের মাধ্যমে, ২৭ টি ওয়ার্ড সম্মেলনের মাধ্যমে যুবলীগের কমিটি সম্পন্ন করেছে । করোনা মহামারীর সময় যুবলীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সকলের সহযোগিতায় অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ , মাক্স ,সেনিটাইজার বিতরণ, দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে দেওয়া, করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় টিম ভাগ করে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি করে হাসপাতালে ডিউটি ভাগ করে দিয়ে রোগীদের সহযোগিতা করা, শীতার্তদের শীত বস্ত্র প্রদান সহ নানাবিদ কার্যক্রম সফলতার সাথে পালন করার চেষ্টা করে করেছেন।
২০১৯ সালে ২৩ নবেম্বর,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৭ম কংগ্রেসে নির্বাচিত সম্মানিত চেয়ারম্যান ফজলে শামস পরশ এবং বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল এর নির্দেশক্রমে,দেশব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে
গাছের চারা প্রদান, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে, রাষ্ট্রীয় প্রতিটি জাতীয় প্রোগ্রামে যুবলীগের সকল নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে নিয়ে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন।
সততা নীতি ও আদর্শের মেলবন্ধনে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সখিপুরের মানুষের জন্য রাজনীতি করা ও সখিপুর পৌর এলাকাকে ডিজিটাল আধুনিক শহরে রূপান্তরিত করাই তার একমাত্র লক্ষ্য।
তথ্য সংগ্রহঃ মাহমুদুল হক টুটুল টাঙ্গাইল প্রতিনিধি