সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দিতে হবে। একই সঙ্গে ডাকঘর সঞ্চয় হিসাব খুলতেও আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ অর্থবছর থেকে তা কার্যকর হবে।
সোমবার (২৫ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সার্কুলারটি দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্কুলারে সঞ্চয়পত্র ও ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক হিসাবে ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ আইন, ২০২২ এর ৪৮ ধারা যথাযথ পরিপালনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে। সেই মোতাবেক ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক হিসাবসমূহ এবং সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকার অধিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইস্যু অফিসে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করতে হবে। অর্থাৎ আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রাপ্তি স্বীকার পত্র দেখাতে হবে।
তাছাড়া, করদাতার কর শনাক্তকরণ নম্বর, নাম ও রিটার্ন দাখিলকৃত অর্থবছরের তথ্যসম্বলিত সিস্টেম জেনারেটেড সনদপত্র দেখাতে হবে। তবে, আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর প্রতিস্থাপন সেকশন ১৮৪ এ এর সাব-সেকশন ৯ অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্রের পরিবর্তে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) দাখিল করতে হবে। এছাড়া, এই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে টিআইএন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অর্থাৎ টিআইএন এবং আয়কর রিটার্ন জমা না দিয়ে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা যাবে না।
উল্লেখ্য, আগে সঞ্চয়পত্রে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) লাগত না। তবে, ১ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে টিআইএন নম্বর দিতে হতো। চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রে যেকোনো পরিমাণ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে টিআইএন বাধ্যতামূলক এবং ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক হিসাবে আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।