বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়ায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে।
বুধবার চলমান শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আজকে ১০০টির বেশি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। কিছু জায়গায় হামলা হয়েছে। যেসব কারখানা আজকে বন্ধ ছিল কাল থেকে তা চালু হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী বিজিএমইএকে পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা রক্ষার ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে বিধায় আগামীকাল থেকে দেশের সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে বলেও জানান খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, পোশাক কারখানায় যারা ঝামেলা করছেন তারা বহিরাগত। অভ্যন্তরীণ সমস্যা খুবই কম। বহিরাগত কারা হামলা চালাচ্ছে তাদের চেনে না বিজিএমইএ। এদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। মাসের শুরুতে কারখানায় ঝামেলা হলেও বেতন দিতে দেরি হবে না।
বিজিএমইএর জেষ্ঠ্য সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, প্রতিদিন কারখানায় শ্রমিক ঢুকছে। কিন্তু বহিরাগতরা এসে ঝামেলা করছে।
এর আগে বুধবার চাকরি এবং নিয়োগে নারী-পুরুষের সমান অধিকারসহ বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন পোশাক শ্রমিকরা। এদিন দুপুরে শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে গাজীপুর, সাভার এবং আশুলিয়ায় শতাধিক পোশাক কারাখানায় ছুটি ঘোষণা করে মালিক পক্ষ।