রাশিয়া ও বেলারুশ পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। তবে সেটি শুধু পারস্পরিক সম্মান থাকলেই সম্ভব।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার সোচি শহরে রোশিয়া ২৪ নামের টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে এমন শর্তের কথা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম রাশিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি পশ্চিমাদের ভবিষ্যত রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। কারণ তাদের যা কিছু প্রয়োজন রাশিয়ার সেটি আছে। অন্যদিকে পশ্চিমাদের প্রযুক্তিসহ আরও অনেক কিছু রাশিয়া এবং বেলারুশের প্রয়োজন। তারা আর কী চায়? তাদের শুধু সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন।’
বেলারুশের নেতার সঙ্গে মন্তব্যের সঙ্গে একমত হন পুতিন। তিনি রাশিয়ার প্রতি পশ্চিমাদের সম্মানজনক আচরণ প্রদর্শনের ওপর জোর দেন।
লুকাশেঙ্কো আরও বলেন, ‘এটা ছাড়া আমরা তাদের সঙ্গে কথাও বলব না। কেউই অপমান সহ্য করবে না। মস্কো এবং মিনস্ক উভয়ই তাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুক্ত ছিল। আমরা পাশাপাশি থাকতে চাই ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।’
রাশিয়ার নেতারা এর আগে অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। মস্কোকে তারা দুর্বল, বিচ্ছিন্ন এবং শেষ পর্যন্ত ধ্বংস করতে চায়।
গত সপ্তাহে একটি টেলিভিশন ভাষণে পুতিন দাবি করেছিলেন, পশ্চিমা দেশগুলো খোলাখুলিভাবে স্বীকার করেছে, তারা ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে ফেলতে সক্ষম হয়েছিল। এখন তাদের লক্ষ্য রাশিয়াকে এমন অনেক অঞ্চলে বিভক্ত করা।’
পুতিন দাবি করেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইচ্ছা করে ইউক্রেনের মতো দেশে রুশ বিরোধী মনোভাব ছড়াচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা দেশটিতে বিরুদ্ধে একটি শত্রু সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা ইউক্রেনের জনগণকে কামানের গোলার মুখে ঠেলে দিয়েছে।
তিনি জানান, মস্কো নিজেকে রক্ষা করতে এবং তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করতে যে কোনো উপায় ব্যবহার করতে প্রস্তুত।