তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেছেন, দয়া করে সরকারকে আর ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করবেন না। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির কোমর ভেঙ্গেছে, আবার ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করলে পা ভেঙে যাবে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুরে শাহ আলী ঈদগাহ ময়দানে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে অদ্যম গতিতে এগিয়ে চলেছে। কয়দিন আগে আইএমএফ (আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল) রিপোর্ট দিয়েছে- বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন পৃথিবীর ৩৫তম। আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করেছিলাম, দেশ ছিল ৬০তম। আমরা গত ১৪ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ অনেক দেশকে এবং পাকিস্তানকে বহু আগেই পেছনে ফেলেছি।
তিনি বলেন, এ উন্নয়ন বিএনপি-খালেদা জিয়া-মির্জা ফখরুল সাহেবদের পছন্দ হয় না। তাই, যে সরকার, যে নেত্রী আজকে উন্নয়নের চাকাকে ধাবমান চাকায় পরিণত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সেই সরকারকে তারা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চায়। তারা ১০ ডিসেম্বর ধাক্কা দিতে চেয়েছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগ কোনো ধাক্কায় পড়ে যাওয়ার দল নয়, বরং যে ধাক্কা দেয় সে-ই পড়ে যায়। ১০ তারিখ সেটিই প্রমাণ হয়েছে।
‘১০ ডিসেম্বর বিএনপি আমাদের ধাক্কা দিতে গিয়ে তারাই পড়ে গিয়ে নয়াপল্টন থেকে গরুর হাটে চলে গেছে, তাই আজকে সুর পাল্টে ফেলেছে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, আজকে মির্জা আব্বাস বক্তব্য রেখেছেন আমরা কোনো সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চাই না। অর্থাৎ ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করে বুঝতে পেরেছে ১০ ডিসেম্বর তাদের কোমর ভেঙ্গে গেছে। সুতরাং এখন লাইনে এসেছে, বলে কি- আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় দেবো।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এখন কর্মসূচি দিয়েছে ১৬ তারিখ না কি তারা গণমিছিল করবে। আমরা রাজপথে নেমেছি, আমরা রাজপথ ছাড়বো না, আমরা রাজপথে থাকবো। কারণ এই রাজপথেই জন্ম আওয়ামী লীগের। আর বিএনপির জন্ম ক্যান্টমেন্টের মধ্যে, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। রাজপথ আর কাউকে দখলে নিতে দেবো না।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, যে দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে বাংলাদেশে পর্দাপণ করেছিলেন, সে দিনই আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে যখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয়, তখন আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৯.৫৪ শতাংশ। আমরা আজ পর্যন্ত সেই রেকর্ড ভাঙতে পারিনি।
আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ কামাল আহমেদ মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আগা খান মিন্টু এমপি প্রমুখ বক্তব্য দেন।