সমুদ্র সম্পদকে ব্যবহার করে অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (৬ মার্চ) মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ৪১তম ব্যাচের ক্যাডেটদের ‘মুজিববর্ষ পাসিং আউট প্যারেড’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করে আমাদের অর্থনীতিকে আরো গতিশীল, শক্তিশালী, মজবুত করতে পারি। তার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যে এমডিজি খুব সাফল্যের সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছি।
সরকার সুনীল অর্থনীতি বা ‘ব্লু ইকোনমি’র ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত ও মিয়ানমার থেকে আমরা বিশাল সমুদ্রসীমা জয়লাভ করেছি। সমুদ্রকে ব্যবহার ও সমুদ্র হতে সম্পদ আহরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার আর্থসামাজিক উন্নয়নের একটি নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহার করে এসডিজি-১৪ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আশা করি, আমাদের সরকারের এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তোমাদের ভূমিকা হবে অপরিহার্য।
সরকার প্রধান বলেন, শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়। এসময় এর আশানুরূপ কোনো অগ্রগতি হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রথম মেরিটাইম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে একটি আন্তর্জাতিক মানের মেরিটাইম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপ নিতে শুরু করে। এসময় একাডেমিক ভবন সম্প্রসারণ, বিভিন্ন ল্যাবে সুবিধা বৃদ্ধি, সম্প্রসারিত লাইব্রেরি সুবিধা, আধুনিক প্রশিক্ষণ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সংগ্রহ, পুরুষ ও নারী ক্যাডেট হোস্টেল এবং ভবিষ্যতে বিদেশি ক্যাডেট অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে বিদেশি ক্যাডেট হোস্টেল নির্মাণ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছিলেন। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর প্রণীত আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরবর্তীতে সমুদ্রসীমা অর্জন করে। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতা দখল করে তারা এদিকে নজর দেয়নি।
এবার মেরিন একাডেমি থেকে ৮৪ জন ক্যাডেট পাস করেছেন। স্বাধীনতা নীতি এবং আদর্শ এই নব্য নাবিকদের মেনে চলার নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান।