আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটা জিততে পারল না বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ জিতলেও শেষ টি-টোয়েন্টি সহজেই জিতে নিয়েছে আফগানরা।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান। স্বাগতিকদের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৪ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে তারা।
শূন্য রানে জীবন পাওয়া ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই ৪৫ বলে ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন ৩ চার ও ৫ ছক্কায়। ওসমান গনি ৪৮ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন ৫ চার ও ১ ছক্কায়।
আফগান ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হেনেছিলেন মেহেদি হাসান। ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে (৫ বলে ৩) তুলে নেন তিনি। তবে এরপর বাংলাদেশকে আর সুযোগ দেননি জাজাই-গনি জুটি। ৮২ বলে ৯৯ রান যোগ করেন দুজন।
গনিকে উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করে ফিফটি বঞ্চিত করেন মাহমুদউল্লাহ। তবে জাজাই দারুণ ইনিংসে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। নাসুম আহমেদের করা প্রথম ওভারেই জীবন পেয়েছিলেন তিনি। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ মিস করেন নাসুম।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের পুরোটাই ছিল হতাশার গল্প। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকেরা।
শততম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা মুশফিকের রহিমের ২৫ বলে ৩০ রানই সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান মাহমুদউল্লাহর। ১৪ বলে ২১ রান করেন তিনি। সুবাদে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন।
অন্যদের কেউই নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশের রান তাই ৯ উইকেটে ১১৫ রানের বেশি হয়নি। আফগানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি এটিই টাইগারদের সর্বনিম্ন স্কোর।
আফগানিস্তানের পক্ষে ফজলহক ফারুকি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই সর্বাধিক ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন ওমরজাই, সিরিজসেরা ফারুকি।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলে দুই দল। যা বাংলাদেশ জিতে ২-১। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে টাইগাররা। তবে শেষ ম্যাচটা জিতে আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টিও প্রথম ম্যাচে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল তারা।